সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার( ৪ সেপ্টেম্বর)রাত ৮ টায় রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আসা১০৮ টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী৬৫ হাজার ১০১ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন তিনি।
তার প্রাপ্ত ভোট ৮৯ হাজার ৭০৫।নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপার আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল) প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬০৪ টি।
ইভিএম পদ্ধতিতে জটিলতা,ভোটার উপস্থিতি কম ও প্রতিদ্বন্দ্বী এক প্রার্থীর এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের মধ্যদিয়ে সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এই আসনের উপ-নির্বাচনে অপর দুই প্রার্থী ছিলেন বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থী শফিআহমদ চৌধুরী(মোটরগাড়ি)এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব)।
শনিবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে বেলা ৪ টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়।প্রথমবারের মতো এ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিংমেশিনে(ইভিএম)ভোট গ্রহণ করা হয়।
তবে ভোট গ্রহণের শুরুতে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।বেশিরভাগ কেন্দ্র ছিল প্রায় ফাঁকা।
তবে যেসব কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল সেগুলোতে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন(ইভিএম)পদ্ধতিতে ভোট দিতে এখনো মানুষ অভ্যস্ত না থাকায় ভোট দিতে মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ করেছেন/
সিলেট-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী,সাবেক সাংসদও বিএনপির বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয়নেতা শফিআহমেদ চৌধুরী।দুপুরে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনেএসে সাংবাদিকদের কাছে তিনিএ অভিযোগ করেন।
ভোটের আগে ইভিএম নিয়ে ভোটার ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের আরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।বলেন,মানুষ ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে অভ্যস্ত নয়।
তিনি নিজেও জানতেন না ইভিএমের মাধ্যমে কিভাবে ভোট দিতে হয়।অনেক পোলিং অফিসারও ইভিএম বুঝেন না।
এদিকে, উপনির্বাচন নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক।
মারধর করে এজেন্টকে বের করে দেওয়া,ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটারদের ফিরিয়ে দেওয়াও কোনো কোনো কেন্দ্রে লাঙ্গলের ভোটারদের জোরপূর্বক নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগ তুলেন তিনি।
আতিক জানান,ফেঞ্চুগঞ্জের ৭টি কেন্দ্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দখল করে নেন।ভোটারদেরও মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
গত ১২ মার্চ সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়।এরপর করোনার কারণে কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তন হয়।
আসনটিতে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি,বাংলাদেশ কংগ্রেস ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ৪ জন প্রার্থী লড়ছেন।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা,ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে আসনটি গঠিত।এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার।মোট ১৪৯টি কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভোটারের ভোট দেওয়ার কথা।
সবকটি কেন্দ্রেই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে।
বিডি//নিজস্ব প্রতিবেদক দৈনিক তোকদার নিউজ.কম এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ,তথ্য,ছবি,আলোকচিত্র,রেখাচিত্র,ভিডিওচিত্র,অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।