গাইবান্ধার ফুলছড়িতে এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মাজেদুল ইসলাম (২৫) নামের এক তরুণকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–১ আদালতের বিচারক কে এম শহীদ আহম্মেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলি শাহীন গুলশান নাহার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমৃত্যু কারাদণ্ড ও জরিমানা ছাড়াও আলামত গোপন ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় দণ্ডবিধি ২০১ ধারায় মাজেদুলকে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জরিমানার টাকার ৫০ হাজার সরকারি কোষাগারে, বাকি ৫০ হাজার টাকা মামলার বাদী পাবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাউসি গ্রামের আহসান হাবিব (১৯), আকরাম মিয়া (১৮) ও সেতারা বেগম (৪৮)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাউসি গ্রামের এক শিশুকে (৭) একই গ্রামের সায়দার রহমানের ছেলে মাজেদুল ইসলাম অপহরণ করে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বাড়ির পাশের পুকুরের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ১ সেপ্টেম্বর পুকুর থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ফুলছড়ি থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাজেদুলসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আসামিপক্ষ এ রায়ে সংক্ষুব্ধ। তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।