লালমনিরহাটের আদিতমারীতে গোবর্দ্ধন হায়দারীয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেন করে পছন্দের লোকজনকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে পাল্টা সংবাদ সন্মেলন করেন।তিনি বুধবার (১ জুন) সকালে স্কুল প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবী করেন তিনি।লিখিত বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক বলেন, সম্প্রতি পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ ম্যনেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ও এমপিও নীতিমালা মেনেই এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস আদেশ মেনে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বোর্ড গঠন করে তুষভান্ডার নছর উদ্দিন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এসবে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ২৪ মে ম্যানেজিং কমিটির সভায় পত্র প্রদান করা হয়।তারা যোগদান করে কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করছেন।পরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মৌখিক পরামর্শক্রমে এবং ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্তক্রমে নিরাপত্তা কর্মীর স্থলে অফিস সহায়ক পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ১৭ জন প্রার্থীর আবেদনের পর জেলা শিক্ষাকর্মকর্তার নিকট মহাপরিচালকের প্রতিনিধি গ্রহণের আবেদন করলে এই পদে নিয়োগের অফিস আদেশ প্রদান করেন। যার বিষয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান।কিন্তু এই বিষয়ে একটি মহল আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও লাঞ্চিত করতে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে। অর্থ নিয়ে নিয়োগের অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রনোদিত, মিথ্যা ও বানোয়াট।ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে নিয়োগের বিনিময়ে টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার সাথে সম্প্রতি এই নিয়ে কোন কথাই হয়নাই। এটি মিথ্যা অভিযোগ। তার কাছ থেকে আমি কোন টাকা নেইনাই বা কোন চুক্তিও করিনাই।এসময় উক্ত বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছাদ্দেক হোসেন চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান কামাল সহ ম্যানেজিং কমিটির বিভিন্ন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।এদিকে গত সোমবার (৩০ মে) নিয়োগ প্রত্যাশী আঃ হারেছ সংবাদ সন্মেলনে বলেন, সম্প্রতি অত্র বিদ্যালয়ে দুইটি পদে নিয়োগ পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে অর্থ লেনদেন করে পছন্দের লোককে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক ও কমিটির লোকজন।এছাড়াও অফিস সহকারী পদে ১৭ জন ব্যাক্তি আবেদন করলেও রোকনুজ্জামান রোকন নামের একজনের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা প্রধান শিক্ষক ও মশিয়ার রহমান নামে আরেকজনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগের পায়তারা করছে।সতেরো জন অংশগ্রহণকারীকে লোকদেখানো পরীক্ষা নিয়ে এই নিয়োগকে বৈধতা দেওয়ার চেস্টা করছে বলেও জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, আপনারা দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে এই এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি সুনাম ছড়ালেও একটি চক্র প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুন্ন করে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অর্থ বানিজ্য করে কৌশলে নিয়োগ দেওয়ার পায়চারা করছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত পূর্বক এই নিয়োগ বাণিজ্য বাতিল করে সুষ্ঠু নিয়মে নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার দাবী জানান এলাকাবাসী।