স্টাফ রিপোর্টার:
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলাধীন ৮নং
সিংরইল ইউনিয়নের কচুরি ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামানের ছেলে, মোঃ কামরুজ্জামান (সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ কমান্ড কাউন্সিল নান্দাইল শাখা) কে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার প্রতিবাদে ২৩ অক্টোবর রবিবার দুপুর ১২.০০ ঘটিকায়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের উদ্দোগ্যে নান্দাইল মডেল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শামছুজ্জামান। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করে, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শামছুজ্জামান, গ্রাম কচুরী চরপাড়া, নান্দাইল, ময়মনসিংহ। গত (২২অক্টোবর) শনিবার দিন, ঘটনার কিছুক্ষন পূর্বে আমার ছেলে মোঃ কামরুজ্জামান নিজ বাড়ী থেকে দিলালপুর উচ্ছ বিদ্যালয়ে ভোটার হালনাগাদ তালিকায় ছবি উঠানোর জন্য বাড়ী হইতে রওনা হয়। সকাল অনুমান ১০.৩০ মিনিটের সময় স্কুলে মাঠে পৌঁছানোর সাথে-সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই মোঃ সাইদুল ইসলাম এর হুকুমে সাইদুল ইসলামের সন্ত্রাস বাহিনি লোহার রড, হাতুড়ী ও কিড়িচ নিয়ে আমার ছেলে মোঃ কামরুজ্জামানের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এমতাবস্থায় পরস্পর মোবাইল ফোন কলের মাধম্যে বিষয়টি জানতে পেরে, আমি তাৎক্ষনিক নান্দাইল মডেল থানার ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি অবগত করি। তারা তাৎক্ষনিক পুলিশ বাহিনি নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছে আমার ছেলেকে ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় কামরুজ্জামান কে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়। আমার ছেলে কামরুজ্জামান বর্তমানে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে ইতি মধ্যে আমি নান্দাইল মডেল থানায় নামাংঙ্কিত ছয় জন সহ আরো অজ্ঞাত চার/পাঁচ জন কে আসামি করে, আমি নিজে বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজারুল হক ফকির বলেন, আমাদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর স্বাধীন দেশে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে দিনে-দুপুরে এভাবে হাতুড়িপেটা করেছে যারা। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষ অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।