মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি।
নারী সাংবাদিক আসমার আত্মহত্যা নাকি রহৎস্যজনক মৃত্যু। তাঁর ফেইজবুকের বার্তার রহৎস্যজনক জেরে নানা জটিল আপত্তি অভিযোগ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সবাইকেই।তাঁর আকষ্মিক মৃত্যুতে ভীতচিন্তিত,ভাবিয়ে ও কাঁদিয়ে তুলেছে ভুক্তভোগীর পরিবার,ফেইসবুকবন্ধু,প্রত্যক্ষদর্শী,শুভাকাঙ্ক্ষী এলাকাবাসী সহ আলোচিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় গণমাধ্যমে।কেউ কেউ বলছে আত্মহত্যা আবার কেউ কেউ বলছে মৃত্যুর জন্য দায়ী তারই সতীন স্বামীসহ আশপাশের কিছু হীনবিবেকমৃত মানুষরুপী মানুষখেকো অমানুষ। যা মেনে নেওয়া ও ব্যাখ্যা দেওয়াও সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার(১৮অক্টোবর)বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)খবর পেয়ে পৃলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে যান। আসমার বাড়ি বরিশালে।
তার অকাল মৃত্যুকালে দুটি সন্তান রেখে গেছেন।৭বছরের শিশু সন্তানও তার সাথে থকতো।
গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার আগে মৃত্যুরদায়ে তারই স্বামী দেশ কালান্তর এর সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বাচ্চু ও তার সতিন রোজিনা বেলায়েতকে দায়ি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।এর আগেও তাদেরকেই জড়িয়ে আত্মহহত্যার করবে দীর্ঘদিন ধরে বলে ও জানিয়ে আসছিলেন। তারও আগে তাঁর অথিতের সমস্যার জেরেই আজকের বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি। এ জন্য আরো ভিন্ন ব্যাক্তির লোমহর্ষক আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন বলে জানা যায়।
তার অকাল মৃত্যুতে আত্মহত্যার জেরে ঘটনার আড়ালে পেছনের ঘটনার অন্তরালে রহৎস্য উন্মোচনে সত্যের অনুসন্ধানে সকলের সহায়তা জোর দাবি জানায় সাংবাদিক সংঘঠন,সাংবাদিক সহকর্মী ও তার পরিবার।আকর্ষিক রহস্যজনক মৃত্যুতে গভীর শোকাভিভূত আজ তাঁর সন্তান,
বাবা-মা,পরিবার সহকর্মী,সাংবাদিক সংঘঠন,সাংবাদিকবৃন্দ,
মিডিয়াকর্মী,সোশ্যাল মিডিয়া,শুভানুধ্যায়ীসহ আশপাশের সকলেই।
উল্লেখ্যঃ আসমা আক্তার একজন গনমাধ্যম,মিডিয়াকর্মী হিসেবে সাংবাদিকতার পদচারণের ধারাবাহিকতায় ও দক্ষতায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় কমিটির নারী বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য,ঢাকা প্রেস ক্লাবের স্থায়ী কমিটির নারী সদস্য,অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেশ কালান্তর ব্যবস্থাপনা সম্পাদকসহ আরো অন্যান্যা সামাজিক সাংঘঠনিক দায়িত্বে বহালে পদপদবি,সদস্য,ও দায়িত্বে হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। বাস্তব কর্মজীবনে অধ্যাবসায়,কর্মমুখী,
পরিশ্রমী,আন্তরিকতার সাথে সক্রিয়,আত্মনির্ভরশীল পরোপকারী ছিলেন।তবে ব্যাক্তি জীবনে সমালোচিতও হয়েছে কিছু কারণে। আসমা আক্তার আত্মহত্যা করেছেন সত্য। আসমা মরে প্রমাণ করে গেলো একজন নারী হিসেবে ও নারী সাংবাদিক হিসেবে আজ পরিবারের সমাজে তারা ভুক্তভোগী হয়ে পদেপদে কতটা অবহেলিত,বাঁধবিঘ্নতা, প্রতিবন্ধিকতা,প্রতিকূলতা জর্জরিত।