নান্দাইল (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতাঃ নান্দাইলে কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছে এক ছাত্র। কবে জামিন হবে এমন শঙ্কায় রয়েছে তার পরিবার। এমনই ঘটনা ঘটেছে- নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ সরকারি কলেজে। ওই ছাত্রের বাড়ি নান্দাইল পৌরসভা এলাকায়।
জানাগেছে-ওই ছাত্র স্থানীয় বাঁশহাটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ৩.৭২ পেয়ে পাস করে। কলেজে ভর্তি হতে বেশ কয়েকটি কলেজ পছন্দ করে অনলাইনে আবেদন করে। কিন্তু পছন্দের ছিল শহীদ স্মৃতি আদর্শ সরকারি কলেজ। দুই বারের ফলাফলে কলেজে ভর্তি হতে না পেয়ে স্থানীয় এক নেতার মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে শর্তে কলেজে ভর্তি হতে রাজি হন। পরে অনলাইনে আবেদন করে নিশ্চিত হন। বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে। কলেজের নথিপত্রে ছাত্রের কোন তথ্য নেই। এতে বিষয়টি সন্দেহ হলে কলেজের অধ্যক্ষ ছাত্র ও কলোজের খণ্ডকালীন কাজ করা কম্পিউটার অপারেটর সাজু ও ভর্তীচ্ছু আরেক শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। থানায় তিনজনকে নিয়ে গেলেও তথ্য যাচাই-বাছাই করে অন্য দুজনকে ছেড়ে দিলেও তাকে ছাড়া হয়নি।
পরদিন কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মো. আতিকুর রহমান বাদী হয়ে কিশোরের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৮ (২) (খ)/১৯ (২)/৩৩ ধারায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তাকে ময়মনসিংহ আদালতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাকে গাজীপুরের টঙ্গীর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, খুব শখ ছিল ছেলেটাকে সেনাবাহিনীর চাকুরীতে দিব। কিন্তু এহন কলেজে ভর্তি হতে এসে সাইবার নিরাপত্তা আইনে জেলে রয়েছে। বিনা দোষে ছেলেডা জেলে। যাদের ফাঁদে পড়েছে ছেলেটা তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে । কঠিন একটি মামলায় আমার নিরীহ ছেলেটাকে ফাঁসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নান্দাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. উবায়দুর রহমান জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। শিক্ষার্থী দোষী প্রমাণিত না হলে ছাড় পাবে।