ওয়াসিম কামাল
লিবিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত
৮ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। নৌকাটিতে ১৫০ জন অভিবাসী ছিলেন৷ লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট ৫৮ জন অভিবাসীর খোঁজে সন্ধান চালাচ্ছে।
লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গত বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ইউরোপগামী অভিবাসীদের একটি নৌকা ডুবে যায় লিবিয়ায়৷ এতে অন্তত আটজন অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন৷ আরো ৫৮ জন অভিবাসী এখনো নিখোঁজ।
নৌকাটিতে কমপক্ষে ১৫০ জন অভিবাসী ছিলেন, যাদের মধ্যে ৮৪ জন বেঁচে গিয়েছেন৷ অভিবাসীদের জন্য রাষ্ট্র পরিচালিত আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের৷ লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র তৌফিক আল-শুকরি একথা জানিয়েছেন। রেড ক্রেসেন্ট এখানে উদ্ধার অভিযানগুলো পরিচালনা করে৷
গত মঙ্গলবার ত্রিপোলির রাজধানী থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পূর্বে লিবিয়ার গারাবুলি শহরের কাছে নৌকাটি ডুবে যায়।
রেড ক্রিসেন্টকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিবাসীরা ইটালিতে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন।
কাস্টেলভার্দে শহরের কাছে মৃতদেহগুলো উপকূলে ভেসে গিয়েছে বলে জানায় আল-শুকরি।
যে ছবি শেয়ার করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে যে রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরে ডুবে যাওয়া অভিবাসীদের মৃতদেহ বন্দরের পাশে কালো রঙের ব্যাগে রাখছেন।
আল-শুকরি বলেন,
মৃতরা সবাই পুরুষ।
কেন লিবিয়া অভিবাসীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট?
গত কয়েক বছরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত লিবিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর জন্য অভিবাসীদের জন্য প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে এই দেশ।
মানবপাচারকারীরা লিবিয়ায় বিশৃঙ্খলা এবং ছয়টি দেশের সঙ্গে দেশটির দীর্ঘ সীমান্ত থেকে লাভবান হচ্ছে।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএমের দেয়া তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত লিবিয়া থেকে কমপক্ষে ১৭ জন অভিবাসী নিহতের এবং ১৮ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আইওএম জানিয়েছে, এ বছর ১১০০ জনেরও বেশি অভিবাসীকে আটক করে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।
২০২২ সালে লিবিয়া থেকে কমপক্ষে ৫২৯ জন অভিবাসী নিহতের এবং ৮৪৮ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর মেলে৷ আইওএম জানায়, ২৪ হাজার ৬৮০ জনেরও বেশি অভিবাসীকে আটকানো হয়েছিল এবং লিবিয়ায় ফেরানো হয় তাদের৷
২০১১ সাল থেকে অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে অভিবাসীদের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল লিবিয়া৷ এই দেশে অনেক অভিবাসী আটক হয়েছে৷ তারা অপব্যবহার এবং শোষণের শিকার হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।