আমিনুল ইসলাম রিপন মফস্বল প্রতিনিধি ঃ
খাবারের বিশুদ্ধতা এবং দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং যানজট নিরসনের লক্ষ্যে
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করণে ও বিভিন্ন দ্রব্য মূল্য বাজার নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এতে লক্ষ্য করা গেছে, তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার পপি খাতুন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবেল উদ্দিনের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়।
১৯ মে (রবিবার ) বেলা ১১ঘটিকার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় তাড়াইল সদর বাজারের বিভিন্ন হোটেল / রেস্টুরেন্ট,, হার্ডওয়ারী দোকান ৪ ব্যবাসীকে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পপি খাতুন বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করণ ও বাজার সাভাবিক রাখার পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি।
এসময় অনেক দোকানে বাজার মূল্য তালিকা পাওয়া যায়নি পাশাপাশি কয়েকটি হোটেল / রেস্টুরেন্টে ময়লা আবর্জনা পাওয়ায় এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সংরক্ষণ করায়, সেই ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭,৩৮,ও ৪৩ ধারা অমান্য করায়,দুজনকে পৃথক দুটি মামলায় ৭০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং অপর দিকে বিভিন্ন দোকানদার রাস্তার জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে, জনগণের চলাফেরায় ব্যাহত ও যানজট সৃষ্টি করায়, স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইনে পৃথক দুটি মামলায় দুইজনকে ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
জানা যায়, এর পূর্বে সকল ব্যবসায়ীদের কে এ বিষয়ে সতর্ক প্রদান করা হয়, যারা এ আদেশ অমান্য করেছেন তাদেরকে মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে আইনগতভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭, ৩৮ ও ৪৩ ধারা লঙ্ঘনে প্রাথমিক ভাবে ৪ জন ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করি।
সাথে সকল ব্যবসায়ীকে ভেজাল মুক্ত খাবার বিক্রি ও সিন্ডিকেট মুক্ত সকল ধরনের দ্রব্য বিক্রি করার নির্দেশ প্রদান করি। জনস্বার্থে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৩৭,৩৮, ,ও ৪৩ ধারা লংঘন করায়, যে ২ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড করা হয় তাদের মধ্যে হার্ডওয়ারী দোকানদার জামিলকে ৩০০০ হাজার টাকা, হোটেলের মালিক হাদীকে ৪০০০ হাজার টাকা,অপরদিকে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইনে পৃথক দুটি মামলায় দুজনকে চার হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
৪ জন ব্যবসায়ী থেকে মোট ১১০০০( এগারো হাজার) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে এমনটাই জানিয়েছেন তাড়াইল উপজেলা প্রশাসন।