1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সংবাদের শিরোনাম মিল থাকায় ১৩ পত্রিকার সম্পাদকদের নোটিশ বাজিতপুর বিএনপি’র উদ্যোগে ইসরাইল বাহিনীর বিমান হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল কিশোরগঞ্জে হিসাব সহকারী কম্পিউটার অপারেটরও ইউপি কর্মকর্তাদের নিয়ে গ্রাম আদালতের প্রশিক্ষণ আমি যদি পাখি হতাম প্রিটোনিয়া প্রকাশনার উদ্যোগে ‘রকের আড্ডা’র রজত জয়ন্তী পালন ময়মনসিংহে নিউজ ষ্টুডিও উদ্ভোধন করলেন জেলা প্রশাসক মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা নরসুন্দা নদী খননের নামে খাল বানানো হচ্ছে বাবাকে বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে গিয়ে বজ্রপাতে তরণীর মৃত্যু তাড়াইলে সবুজ পল্লব ফাউন্ডেশনের কমিটি গঠন
শিরোনাম
সংবাদের শিরোনাম মিল থাকায় ১৩ পত্রিকার সম্পাদকদের নোটিশ বাজিতপুর বিএনপি’র উদ্যোগে ইসরাইল বাহিনীর বিমান হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল কিশোরগঞ্জে হিসাব সহকারী কম্পিউটার অপারেটরও ইউপি কর্মকর্তাদের নিয়ে গ্রাম আদালতের প্রশিক্ষণ আমি যদি পাখি হতাম প্রিটোনিয়া প্রকাশনার উদ্যোগে ‘রকের আড্ডা’র রজত জয়ন্তী পালন ময়মনসিংহে নিউজ ষ্টুডিও উদ্ভোধন করলেন জেলা প্রশাসক মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা নরসুন্দা নদী খননের নামে খাল বানানো হচ্ছে বাবাকে বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে গিয়ে বজ্রপাতে তরণীর মৃত্যু তাড়াইলে সবুজ পল্লব ফাউন্ডেশনের কমিটি গঠন

টাকা ছাড়াই মিলে ভাতার কার্ড এ জনপ্রতিনিধির কাছে

  • প্রকাশ কাল মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ২১৪ বার পড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিধবা, দুস্থভাতা, প্রতিবন্ধী, গর্ভবতীভাতা সহ এমন কোনো ভাতা নেই টাকা ছাড়া হতো । হউক তা প্রকাশ্য কিংবা গোপনে এমন অভিযোগের সীমা ছিলো না একটি সময় ।

কিন্তু তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সকল ভাতা করে দেন বিনামূল্যে। এমন কথা এখন এলাকার সাধারন ভাতাভোগীদের মুখে মুখে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার ১নং জিনারী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাহারুল ইসলাম (রুহিদ)।

আগেকার সময় উপকারভোগীরা কার্ড করার জন্য কখনো ভাতার পুরো টাকা, কখনো অগ্রিম টাকা, কখনো বা ভাতার টাকার একটি অংশ দিতে হতো জনপ্রতিনিধিদের । এখন পুরো সুবিধাপান বিনামূল্যে। এতে ভাতাভোগী নিরীহ অসহায়রা খুব মহাখুশি।

বিধবা ভাতা, গর্ভকালীন দুস্থ্যভাতা পাওয়ার জন্য, কার্ড পাওয়ার আগেই টাকা না দিলে কার্ড হতো না। এমন কি টাকা দেয়ার পরেও মনিমনা না হলেও কার্ডও বাতিল হয়ে যেতো । টাকা দিয়ে কার্ড হলেও অনেক সময় ভাতার টাকাও পেতো না এমন অভিযোগ শুনা যেতো। আবার টাকা দেওয়ার বিষয়টি কাউকে জানালেও হেনস্তার শিকার হতে হতো সাধারণ জনগণের।

জিনারী গ্রামের বাসিন্দা আউশির মা বলেন , ‘আমি বয়স্ক ভাতার জন্য অনেক দিন ঘুরেছি অনেক মেম্বার চেয়ারম্যানদের কাছে টাকা দিতে পারেনি বলে হয়নি। রহিদ চেয়ারম্যান করে দিছে টাকা ছাড়া।

পিপলাকান্দি গ্রামের জ্যোৎস্না বেগম নামে একজন বলেন, ‘আমি গর্ভবতী অবস্থায় সাবেক ইউপি সদস্যের কাছে গেছিলাম গর্ভ-ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, টাকা ছাড়া এসব কার্ড করা যায় না। আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। তাই করতে পারিনি। পরের বার গর্ভবর্তী অবস্থায় রহিদ চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি বিনামূল্যে করে দেন।

চরকাটিরহারী গ্রামের নাম প্রকাশ করার না শর্তে একজন জানান, ‘কার্ড করতে নাকি অনেক টাকা লাগে অনেক চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে শুনি, তাহলে রহিদ চেয়ারম্যান কি করে বিনামুল্যে দেয়। আমার পরিবারেও একটি বিধবা কার্ড করে দিছেন তিনি। সাবেক এক ইউপি সদস্যের কাছে ঘুরতে ঘুরতে কয়েক জোড়া পায়ের জুতা কয় করে ফেলেছিলাম কিন্তু কার্ড আর হয়নি, রহিদ চেয়ারম্যান করে দিলো। তিনিও তো টাকা খরচ করেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। তাহলে তিনি পারেন কি করে বিনামূল্যে ভাতার কার্ড করে দিতে। অন্য জনপ্রতিনিধিরা পারেন না কেন? এমন প্রশ্ন রাখেন ঐ ভোক্তভোগী।

এক গ্রাম পুলিশ সদস্যের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিগত দিনের সময় ‘আমারা অনেকে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনতাম । কিন্তু এ চেয়ারম্যানে সময়ে এ পর্যন্ত শুনেনি যে, টাকার বিনিময়ে কোন ভাতার কার্ড করে দিয়েছে বা কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছে । আমি উনার কাছেই বেশির ভাগ সময় থাকি যতদূর দেখেছি সকল ভাতাই বিনামূল্যে করে দিছে এবং যোগ্য ব্যাক্তিরাই পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ রতন মিয়া সাথে কথা হলে তিনি জানান, কথা সত্য তিনি ভাতা করে দেয়ার জন্য কোন টাকা পয়সা নেন না। তিনি সাবেক ইউপি ওর্য়াড সদস্য থাকা কালিনও ভাতার জন্য কোন টাকা পয়সা নেননি।

ঐতিহ্যবাহী পিপলাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজমুল হক জানান, সমাজে নেতৃত্ব ও জনগণের সেবা দিতে হলে উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন হয় না, তার এক বিরল প্রমান আজাহারুল ইসলাম (রহিদ)সাহেব। তিনি যেমন কথায় তেমন কাজেও প্রমান করেছেন উনি নির্বাচনের সময় জনগনের সাথে মঞ্চে কথা দিয়ে ছিলেন বিজয়ী হলে সকল ধরনের ভাতা বিনামূল্যে করে দিবেন। তাই বিজয়ী হয়ে কথা রেখেছেন ও বাস্তবায়নে চেষ্টা করতেছেন কথা দিয়ে কথা রাখাটা এটা একটা বিরল বলে আমি মনে করি।

হোসেনপুর মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ তারেক নেওয়া জানান, সকল ভাতাই বিনামূল্যে দেয় সরকার প্রকৃতভাতা পাবার যোগ্য সে সকল ব্যাক্তিরাই পাপ্য। যারা টাকার বিনময়ে ভাতা প্রদান করেন তা আইনত অপরাধ করেন। চেয়াম্যান হিসাবে তিনি যে কাজটা করছেন সত্যিকার অর্থে এটাই প্রসংশনিয়।

সাপ্তাহিক হোসেনপুর বার্তার বার্তা সম্পাদক, উজ্জল কুমার সরকার বলেন,সে এলাকার মানুষের কাছে যতদূর শুনেছি সকল ভাতাই বিনামূল্যে করে দেন তিনি ।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST