বিশেষ প্রতিনিধি
কক্সবাজারের আলোচিত ইয়াবা লুটকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাত ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামী ইয়াবা সম্রাট সৈয়দ উল্লাহ ও তার সহযোগী আব্দুল গফুর ওরফে গুডুইল্লাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫; উদ্ধার লক্ষাধিক ইয়াবা।
১৩আগস্ট,সদর মডেল থানায় একটি মামলা ধারাবাহিকতায়
কক্সবাজার সদরের পিএমখালি ইউনিয়নের মাদালিয়া পাড়াস্থ সৈয়দের শ্বশুর বাড়িতে অবস্থানকালে আটক করে।
এসময় ১,০৩,৮০০ (এক লক্ষ তিন হাজার আটশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আটক সৈয়দ উল্লাহ প্রকাশ ইয়াবা সৈয়দ (৪২) মোঃ হোসেন, ছেলে ও আব্দুল গফুর প্রকাশ গুডুইল্লা (৪০)মৃত জমির হোসেনের ছেলে। উভয়েই উত্তর নুনিয়ার ছড়া গ্রামের কক্সবাজার সদর থানা কক্সবাজার পৌরসভার বাসিন্দা।
কক্সবাজারের ভিন্নধর্মী এই ঘটনা গতকাল স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হলে তা নিয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। হামলাকারী আসামীদের গ্রেফতার এবং খালাসকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের দাবিতে সকলে সচেতনতা ও সোচ্চার হন দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত ও প্রচারিত হয়।
কক্সবাজার একটি ইয়াবা পাচার প্রবণ এলাকা। এখানে প্রতিনিয়ত ইয়াবা পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি এবং গ্রুপের মধ্যে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব লেগে থাকে। প্রায়শঃই এই ইয়াবা বিক্রির টাকার ভাগ নিয়ে মারামারি এবং খুনাখুনির মত গুরুতর অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে।
গত ১২আগস্ট শনিবার ভোরবেলা কক্সবাজারের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী সৈয়দ উল্লাহ তার নিজস্ব ট্রলারে বিপুল পরিমাণ ইয়াবার একটি চালান পৌরসভার উত্তর নুনিয়ারছড়ার পানির কুয়া এলাকায় খালাস করার সময় অপর একটি গ্রুপ আসামী সৈয়দ উল্লাহ’র ইয়াবা লুট করার চেষ্টায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় আসামী সৈয়দ উল্লাহ ও তার সহযোগী ৬ থেকে ৭ জন ইয়াবা ছিনতাইকারী ঐ গ্রুপের উপর ছুরি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে দুদু মিয়া এবং তার সঙ্গীয় মোঃ রিপন’কে গুরুতর আহত করে।
আহত দুদু মিয়া বাদী হয়ে আসামী সৈয়দ উল্লাহ’কে প্রধান আসামী এবং তার অপর ৫ সহযোগীর নাম উল্লেখ করে আঘাত ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সদর মডেল থানায় একটি মামলা করে।
এ প্রেক্ষিতে র্যাব-১৫ হামলাকারী আসামীদের গ্রেফতার ও খালাসকৃত ইয়াবাসমূহ উদ্ধারে তৎপরতায় গোপন সূত্রে সংবাদে সৈয়দ উল্লাহ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী গফুর ওরফে গুডুইল্লাসহ সদর উপজেলার পিএমখালি ইউনিয়নের মাদালিয়া পাড়াস্থ সৈয়দের শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান ও খালাসকৃত ইয়াবার একটি বড় অংশও তাদের হেফাজতে রয়েছে।
সেই মোতাবেক তারিখ ও সময়ে অপরাধীদের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে পুরো অবস্থানস্থল ঘেরাও ও অভিযানে পলায়নকালে মামলার প্রধান আসামী ইয়াবা গডফাদার সৈয়দ উল্লাহ এবং তার অন্যতম সহযোগী, একই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী আব্দুল গফুর ওরফে গুডুইল্লাকে আটক করে।
আটক আসামী সৈয়দ উল্লাহ ও আব্দুল গফুরকে ইতিমধ্যে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশের নিকট হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও এজাহারভুক্ত পলাতক অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে র্যাব-১৫ এর তৎপরতা চলমান রয়েছে। অধিনায়কের পক্ষে,মোঃ আবু সালাম চৌধুরী-অতিঃ পুলিশ সুপার,সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)।