নিজস্ব প্রতিবেদক
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের জীবিকায়নের জন্য মহিলাদের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রকল্পে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে কাজ করছেন ৬৪টি জেলায় ৩২০ জন প্রশিক্ষক। অথচ আজ পর্যন্ত এ প্রকল্পে কর্মরতদের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এতে তারা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এ অবস্থায় প্রকল্পে কর্মরতদের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনের রাস্তায় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রকল্পে কর্মরতরা মানববন্ধন শেষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপিটি দেন।
মহিলাদের দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূটির সময় ব্যয় রাজস্ব বাজেটের মাধ্যমে সম্পাদিত হচ্ছে। কর্মসূচির প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতাও রাজস্ব বাজেটে যথাসময়ে তাদের প্রধান করা হয়ে থাকে। তা না হলে কর্মসূচির প্রশিক্ষকের বেতন চার মাস অন্তর পেয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকা মানবেতর এবং কষ্টসাধ্য।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, জীবিকায়ন কর্মসূচিটি চলমান করার লক্ষ্যে ২০২১ সালে ৬৪ জেলার ৩২০ প্রশিক্ষকের পদসৃজনসহ কর্মসূচিটি জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। কিন্তু সে সময় কর্মসূচি রাজস্বে গেলেও জনবল নেওয়া হয়নি। সেই প্রেক্ষিতে পুনরায় ২০২১ সালের
দাবি মোদের একটাই, জীবিকায়ন রাজস্ব চাই
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের জীবিকায়নের জন্য মহিলাদের দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি গ্রহণ করে সরকার। কর্মসূচিতে কর্মরত জনবল দিয়ে এ পর্যন্ত ২ ঘনববন্ধন ও স্মারকালাপ প্রদান লাখ ৬ হাজার ৮০০ জন নারীকে বিভিন্ন বিষয়ে আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৫৩ ভাগ নারী বিভিন্ন কর্মসংস্থান এবং কর্মস্থলে কর্মরত আছেন। মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের কাজে গতি এসেছে।
ছয়জন বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা পর্যায়ে পরিচালিত দীঘ ১৪ বৎসর ধরে চলমান
কর্মরত ৩২০ জন প্রশিক্ষকসহ কর্মসূচিটি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করণের জন্য শান্তিপূর্ণ তানে
জীবিকায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার ফলে বর্তমানে ঘরে-বাইরে সবখানেই বেড়েছে নারীর অংশগ্রহণ নারীদের জীবনেও পরিবর্তন এসেছে। নারীদের মধ্যে একসময় যে হতাশা, দুর্দশাগ্রস্ত ছিল তা এই প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে অনেকাংশে কমেছে। যেসব নারীরা একসময় অন্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল, তারা অধিকাংশ এখন নিজের ও পরিবারের অন্যদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১১ সাল থেকেই কর্মসূচিটির প্রশিক্ষকদের বেতন-ভাতা ন্যূনতম চার মাস অন্তর প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু সেটি সীমা ছাড়িয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দীর্ঘ ৯ মাস পরে বেতন-ভাতা প্রদান করে। জীবিকায়নের জন্য
যাজনে জীনিকায়নের জন্য মারলাদের দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ বৎসূচর ৬৪টি জেলায় এদিনে।
২৮ ডিসেম্বর জনবলসহ রাজস্বকরণের প্রস্তাব পাঠানো হয় যার কোনো সুরাহা এখন পর্যন্ত হয়নি। এ অবস্থায় নারীর ক্ষমতায়ন, অধিকার সচেতনতা, আত্মবিশ্বাস
সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা তৈরি ও দারিদ্রদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে আত্মনির্ভরশীল জনশক্তিতে রূপান্তর করে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে অসহায় দরিদ্র, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা দক্ষ ও অভিজ্ঞ ৯০ ভাগ নারী কর্মচারীর দিকে সুনজর দিয়ে ৩২০ জন জনবলের পদসৃজন করে চলমান জনবলকে ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল থেকে বকেয়া বেতন-ভাতা এবং ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের অনুরোধ জানানো হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে।