বাজিতপুর প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের ডুয়াইগাঁও-নয়াপাড়া মূল সংযোগ রাস্তাটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে উন্নয়ন করে দিলেন ডুয়াইগাঁও নিবাসী মো. শরীফুল হক। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন এক অজানা কারণে রাস্তাটি স্থায়ীভাবে উন্নয়ন হয়নি। যে কারণে সংযোগ রাস্তার চারপাশের সাত গ্রামের মানুষের যাতায়াতে এখনও কষ্ট করতে হচ্ছে। এবার প্রবাসী শরীফুলের উদ্যোগে গ্রামবাসী ও তাঁর ৫ লক্ষাধিক টাকায় সংযোগ রাস্তাটি সম্পন্ন হতে যাচ্ছে।
উক্ত রাস্তা দিয়ে ডুয়াইগাঁও, ডুয়াইগাঁও নয়পাড়া, জফরপুর পশ্চিম পাড়া, জফরপুর উত্তর পাড়া, নবুরিয়া, বোয়ালিয়া, তেলিচারা, বিলপাড়সহ অন্যান্য এলাকার মানুষের যাওয়ার রাস্তা এটি। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী যাতায়েত করে। এই রাস্তাটি নিয়ে বিপাকে পড়েছিলো স্থানীয় জনগন। রাস্তাটি গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই এক হাটু কাদা জমে। তখন যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও বিপদজ্জনক হয়ে পড়ে। যা প্রতিনিয়ত সৃষ্টি করছে জনদুর্ভোগের। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক শত মানুষ যাতায়াত করে।
স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী মো. শরীফুল হকের এমন মহতি সহযোগিতায় অন্যান্য প্রবাসীরাও অনুপ্রাণিত হবে। দীর্ঘদিন যাবত অবহেলিত সড়কটি এলাকাবাসির নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধার্থে ব্যক্তিগত অর্থায়নে কারায় প্রবাসীর এলাকাবাসির সুনাম কুড়িয়েছেন ।
এ বিষয়ে প্রবাসী শরীফুল বলেন, গ্রামের মানুষের চলাচলের কষ্ট ও দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমি এ গ্রামের সন্তান হিসেবে আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে যতটুকু সম্ভব আর্থিক সহায়তা করে রাস্তাটি সম্পন্ন করে দিচ্ছি। রাস্তাটি ডুবার পাশে হওয়ায় হওয়ায় আরসিসি করে ইটের গাঁথনি করতে হচ্ছে। এ জন্য টাকাও লাগছে অনেক বেশি। তবে এবার সাত গ্রামের মানুষ আরাম করে যাতায়ত করতে পারবে। আমি অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ দেব। তিনি কথা দিয়েছেন রাস্তার বালু ও কার্পেটিংয়ের কাজটি তিনি সম্পন্ন করে দিবেন।
পিরিজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: জাফর ইকবাল জুয়েল বলেন, রাস্তাটি দুটি পুকুরের মাঝ দিয়ে হওয়ায় পরিষদের এতো বরাদ্দ থাকেনা যা দিয়ে আরসিসি করে কার্পেটিং করা যায়। তাই রাস্তাটি মাটির হওয়ায় বর্ষার সময়ে ভেঙ্গে যায়। তবে শরীফুলকে স্বাগত জানাই এ উদ্যোগটি নেওয়ার জন্য। রাস্তার বাকী কাজ পরিষদ নিজ উদ্যেোগে সম্পন্ন করবে