হুমায়ুন রশিদ জুয়েল, কিশোরগঞ্জ ঃ কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় (ইজিপিপি) কর্মসূচি এলাকায় গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি এলাকায় কর্মহীনদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হতদরিদ্রদের জন্য গৃহীত ৪০দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি পরিবর্তে সারা বাংলাদেশে ৩৬ দিনের জন্য বরাদ্দ করা হয়, তারেই ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট এলাকার বেকারত্ব অনেকাংশে হ্রাস পায় । এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে একদিকে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে অতি দরিদ্ররা অভাব-অনটনের সময় কাজ, পাচ্ছে , অন্যদিকে এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কাঁচা রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন ও সংস্কার হচ্ছে। জানা গেছে, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইউএনও লুবনা শারমিন এবং পিআইও এস এম আবু মোতালেবের কঠোর অবস্থানের কারণে এসব প্রকল্পের সুফল পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের(ইউপি) প্রত্যন্তগ্রামাঞ্চলের কাঁচা রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কাজ দ্রুত গতিতে সম্পূর্ণ হয়েছে । তাড়াইল সাচাইল সদর,জাওয়ার,দামিহা,এমন কিছু রাস্তা রয়েছে যা ইতিপূর্বে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, সেই সব রাস্তা এখন ইজিপি পি কর্মসূচি দ্বারা ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন পরে এসব গ্রাম অঞ্চলের রাস্তাঘাটের দৃশ্যমান উন্নয়নে ব্যাপক মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় তাড়াইল উপজেলা চলতি ২০২২- ২০২৩ অর্থ বছরে ৪০দিনের কর্মসূচিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে এবছর সারাদেশে ৩৬ দিনের বরাদ্দ প্রদান করা হয়। তাড়াইল উপজেলা ৭টি ইউনিয়নের পরিষদে ( ইউপি) মোট ৩৪টি প্রকল্পের অনুকূলে ১৪৯৪ জন শ্রমিক নিয়ে প্রকল্পের কাজ ১০/০৫/২০২৩ইং শুরু হয়েছিল এবং যথাযথ সময়ে ০৫/০৬/২০২৩ইং তারিখে প্রকল্পের কাজ সফলতার সঙ্গে সম্পূর্ণ শেষ হয় ।উল্লেখ্য, একজন শ্রমিক প্রতিদিন ৪ শ` টাকা হারে ৩৬ দিনে মোট পারিশ্রমিক পায় ১৪ হাজার ৪০০ টাকা। প্রত্যেকেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পর মাধ্যমে যথা সময়ে তাদের পারিশ্রমিক নির্বিঘ্নে বুঝিয়ে পায়। এ ব্যাপারে কারো কোন অভিযোগ নেই। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা( পি আইও)এসএম আবু মোতালেব ও প্রকৌশলী সাদীদ হুসাইন বলেন প্রকল্পে কঠোর নজরদারি করায় গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে । প্রকল্প কর্মকর্তা এস এম আবু মোতালিব বলেন দু, একটি প্রকল্প ব্যতীত বাকি প্রকল্পে দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ হয়েছে। এ ব্যাপারে ৪ নং জাওয়ার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রতনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান আমার ইউনিয়নে অনিয়ম ছাড়াই সুন্দরও সফল সফল ভাবে উক্ত প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১ নং তালজঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু জাহেদ ভুইয়া বলেন,উক্ত কর্মসূচির প্রকল্পের কাজ উন্নয়ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন,১ নং তালজাঙ্গা ইউনিয়নে বিগত চেয়ারম্যানরা যেটা করতে পারেন নাই, সেটা আমি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মাধ্যমে করতে পেরেছি বলে আমি ধন্য, গৃহহীনদের জন্য, ১ নং তালজাঙ্গা ইউনিয়ন চিকনি আউজিয়া আবাসন প্রকল্পে বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি। তাড়াইল সাচাইল ইউনিয়ন সচিব মশিউ জামান ও তালজাঙ্গা ইউনিয়নের সচিব মোঃআতাউর রহমান খান জানান,আমার ইউনিয়নে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছি। দামিহা ইউনিয়নের মাইনুজ্জামান নবাব বলেন আমার ইউনিয়নে প্রকল্পের কাজে কোন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি নেই বলে চলে। দিগদাড়ই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ,তাড়াইল সাচাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাঈম দাদ খান নওশাদ,রাউতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন তারিক, ধলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আফরোজ আলম ঝিনুক সহ তারা জানান, তাদের ইউনিয়নে দুর্নীতি করার কোন সুযোগ নেই,। ভবিষ্যতেও দুর্নীতি ও অনিয়ম করার কোন সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানান। তারা বলেন দু একটি প্রকল্পে আংশিক ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলেও প্রকল্প গুলো সফলতার সাথে বাস্তবায়ন সম্পূর্ণ হয়েছে। এলাকাবাসী জানান গৃহীত কর্ম সৃজন কর্মসূচি কাজ চলমান থাকলে দৃশ্যমান উন্নয়নের পাশাপাশি অবহেলিত এলাকার জনজীবন যাত্রা মান আরেও বেড়ে যাবে এবং বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।