সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ পৌরসভায় চাকুরীর প্রভাব দেখিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হয়রানি ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে নুর ইসলাম (৫০) এর বিরুদ্ধে। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কালুহাজী রোডস্থ বজলুর রহমানের ছেলে নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট এমন অপকর্ম চালিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন থেকে নিজেকে পৌরসভার কর্মকর্তা ও সাবেক পৌর মেয়রের ঘনিষ্ঠ জন পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভাবে চাঁদাবাজি করছেন নুর ইসলাম। এছাড়াও কোন নিয়ম—নীতির তোয়াক্কা না করে নাগরিকদের জন্ম সনদ, মৃত্যুসনদ, বিভিন্ন সনদের ভূল সংশোধন, শিশুভাতা, বিধবা ভাতা ইত্যাদি করে দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। তার চাহিদা মত টাকা দিতে ব্যর্থ হলে হয়রানির শিকার হতে হয়। জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, প্রবাসী ও সধারণ নাগরিক কেইউ রক্ষা পাচ্ছেনা তার হাত থেকে।
ঐ এলাকার বাসিন্দা মো: সোহাগ হোসেন জানান, নুর ইসলাম আমাদের প্রতিবেশী, সে পৌরসভায় চাকরি করে পরিচয় দিয়ে জন্মসনদ সংশোধন বাবদ আমার নিকট সাত হাজার টাকা চেয়েছে। জাবেদ হোসেন জানান, শিশুভাতা করে দিবে বলে তার নিকট সাত হাজার টাকা দাবী করেছে নুর ইসলাম। মো: শাহজাহান বলেন, জন্মসনদের ভূল সংশোধনের নামে দুই হাজার টাকা করে চার বার টাকা নিয়েছিলো নুর ইসলাম। রনি জানান, তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করতে গেলে নুর ইসলাম তাদের নিকট দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে, অন্যথায় জমি বিক্রি করতে দেওয়া হবেনা বলে হুমকি দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশি জানান, সাত—আটজন লোক নিয়ে এলাকায় নুর ইসলামের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। নুতন বাড়িঘর নির্মানকারীদের নিকট থেকে টাকা আদায়ে এ সিন্ডিকেট কে ব্যবহার করে থাকে সে। এই এলাকায় কোন জমি ক্রয়—বিক্রয় এবং নতুন বাড়ী বা ভাউন্ডরী করতে গেলে নুর ইসলামকে টাকা দিতে হয়। না হয় ঐ জমিতে মায়ের কিছু অংশ আছে দাবী করে ঝমেলা সৃষ্টি করে। পরবতীর্তে তার লোকজনের মধ্যস্থতায় টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নুর ইসলাম বলেন, মানুষের প্রয়োজনে কাজ করে দেই, তারা টাকা দিয়েছে, তবে এতো টাকা কখনো দেয়নি। বিষয়টি মিডিয়ার নিকট বলাটা দুঃখজনক। তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টি সঠিক নয়, এক চেয়ারম্যান আমাদের এখানে বাড়ী করছেন, সেখানে আমরা জমি পাবো, জমি বাবদ তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। একপর্যয়ে, এবিষয়ে নিউজ প্রকাশ করলে সাংবাদিদের আইসিটি আইনে মামলা করার হুমকী দেন তিনি।
নুর ইসলাম প্রসঙ্গে পৌরসচিব আলাউদ্দিন জানান, নুর ইসলাম পৌরসভার নিয়মিত বা মাষ্টাররোল ভুক্ত কোন কর্মচারী নয়। পৌরসভার যেসব নাগরিক দরখাস্ত লিখতে পারেননা, তাদের দরখাস্ত লিখে দেন তিনি। এর জন্য সামান্য পারিশ্রমিক নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে।