গ্রাহকের টাকা একাউন্ট-এ জমা না দিয়ে আত্মসাতের মামলায় ফেনী শাখার সোস্যাশ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অফিসারকে(কাশিয়্যার)৩০বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।একই সাথে ২২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।রোববার দুপুর ৩টার দিকে নোয়াখালী জেলা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ আদেশ দেন।দণ্ডপ্রাপ্ত হাসান মোহাম্মদ রাসেদ ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মাজার এলাকার মালেক ভবনের আবদুল মালেকের ছেলে।তিনি ফেনী শাখার সোস্যাশ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক অফিসার(কাশিয়্যার)। দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)সূত্র জানায়,হাসান মোহাম্মদ রাসেদ(৩৮)ফেনী শাখার সোস্যাশ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কাশিয়্যার হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন রেজিয়া সুলতানা নামের এক গ্রাহকের হিসাবে জমা দেয়ার জন্য গৃহিত নয় লাখ ও আট লাখসহ মোট ১৭লাখ টাকা গ্রাহকের হিসাবে জমা দেয়ার নিমিত্তে গ্রহণপূর্বক গ্রাহককে জমা রশিদ প্রদান করলেও গৃহিত টাকা গ্রাহকের হিসাবে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।ওই অভিযোগের আলোকে তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক ২০১৯সালের ১এপ্রিল ফেনী থানায় মামলা করেন।দুদকের পক্ষে মামলাটি তদন্তপূর্বক অভিযোগ পত্র দাখিল করেন দুদকের নোয়াখালীর তৎকালীন ডি.ডি জাহাঙ্গীর আলম।বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বলেন,দুপুরে মামলার শুনানি শেষে বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান অভিযুক্ত আসামিকে পাঁচটি ধারায় মোট ৩০ বছরের কারাদণ্ড ও ২২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।দণ্ডপ্রাপ্ত হাসান মোহাম্মদ রাসেদ এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।