রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার সলেয়াসার বাজারের কাছে বুধবার(৪মে)সন্ধ্যায় মাইক্রোবাস চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন।আহত হয়েছেন আরও তিন।আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ মাইক্রোবাসটিকে আটক করেছে।তবে চালক পালিয়ে গেছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে,মাইক্রোবাসের চালক মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।তার দায়িত্বহীনতা আর দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর কারণে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে।এদিকে,মাইক্রোবাস চাপায় পাঁচ জন নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা রংপুর সৈয়দপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
পুলিশ জানায়,সন্ধ্যা ৭টার দিকে গংগাচড়া উপজেলার সলেয়াসার বাজারের কাছে একটি অটোরিকশাকে পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিন জন নিহত ও পাঁচ জন আহত হন। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আরও দুই নারী মারা যান।মাইক্রোবাসটি নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে রংপুরের দিকে আসছিল।অন্যদিকে অটোরিকশাটি তারাগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল।নিহতদের মধ্যে চার জনের পরিচয় জানা গেছে।তারা হলেন-তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালির অটোরিকশাচালক জেয়াদুল ইসলাম(৩৫),একই এলাকার যাত্রী সিরাজুল ইসলাম(৩৪)ও তারাগঞ্জ উপজেলার খারুয়াবান্ধা গ্রামের আমজাদ হোসেন(৩০)ও নাজমা বেগম। আরেকজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সামসুল ইসলাম জানান,হাসপাতালে আনার পথে আরও দুই নারী মারা গেছেন।আহত তিন জনকে ভর্তি করা হয়েছে।গঙ্গাচড়া থানার ওসি দুলাল হোসেন জানান,মাইক্রোবাসের চালক মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।তার দায়িত্বহীনতার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।মাইক্রোবাসটিকে আটক করা হলেও ড্রাইভার পালিয়ে গেছে।তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।