মোহাম্মদ মাসুদ
চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ৩ তথ্যমতে পূর্ব শত্রুতার জেরে কিশোর যখমে ১ কিশোর ঘটনাস্তলেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। হত্যাকারীরা নিজেদেরকে আড়াল করতে আইন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে নিহত কিশোর ও আহতদের চোরের দায়ে তকমা লাগিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চালায়। দাবি নিহতের বাবা-মা স্বজন এলাকাবাসীর। ঘটনায় দুইজন আটক হলেও প্রশাসনের প্রতি নীরবতা অবহেলা নানা নীতিবাচক অভিযোগ উঠে।
২৩ আগস্ট বিকেলে কাঞ্চননগর বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসী শিক্ষার্থীরা দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন প্রতিবাদ জানানো হয়। এ সময় বক্তারা অভিজাত্য হত্যাকারীদের মাপ সৃষ্টিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের জোরালো দাবি জানান। নিহত মো. রিহান মাহিন একই এলাকার মুদি দোকানদার মুহাম্মদ লোকমানের ছেলে। মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন।
মব সৃষ্টিকারী হত্যায় জরিতরা এখন সবাই পলাতক। যা মুহূর্তের মধ্যেই শীর্ষ আলোচিত হয় সোশ্যাল মিডিয়া গণমাধ্যম প্রিন্ট পত্রিকা। তীব্র সমালোচনা গুঞ্জনে চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ে এলাকা আশপাশ অঞ্চল সর্বস্তরের মানুষের মুখে মুখে সারা দেশজুড়ে।
চোখের সামনে সন্তানের মৃত্যু যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। যার হারিয়েছে সেই বুঝে হারানোর যন্ত্রণা। বাবার কাঁধেই সন্তানের লাশ। ভাইরে ভাই ফাঁসি চাই। তিন সন্তানের দুই সন্তান মারা যায়। একমাত্র ভরসার স্থল ১৮ পারা পবিত্র কুরআনের হাফেজ সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মাহিন। একমাত্র সন্তানের মায়ার মমতার শোকে বাবা-মা স্বজন এলাকাবাসীদের শোকের ছায়া। অভিযুক্ত অপরাধীদের ফাঁসি চাই সর্বস্তরের মানুষের চাওয়া।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে একই বাড়ির সমাজের বাসিন্দা পূর্ব শত্রুতার জেরেই পরিকপিত ছকে চোর সন্দেহে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বাকি দুইজন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।
ঘটনাস্থল সরজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়,
নিহত মাহিনকে মৃত্যুর আগ মুহূর্তে পানি পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি। নিষ্ঠুর নির্মম আঘাতকারীদের উল্টো আক্রমণের শিকার হলেন বাঁচাতে আসার স্বজনরা। বক্তব্যে স্বজনরা বাস্তবতার ভয়ংকর লোমহর্ষক চিত্রে তুলে ধরেন।
মা-বাবা স্বজন এলাকাবাসী সন্তানকে বাঁচাতে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। হলেন উল্টো মারধরের শিকার। চোখের সামনেই মরতে হলো মব জাস্টিস জখমে লোমহর্ষ আঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করে কিশোর মাহিনকে। মা-বাবা সজনরা বক্তব্যে ভয়াবহতার এসব কথা বলেন।
হত্যাকারী অভিযুক্ত করা হলেন, মুহাম্মদ নোমান (২২) মুহাম্মদ আজাদ (২৩) নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার হলেও নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ তৈয়ব, মহিউদ্দিনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৭জন পলাতক।
নিহত মাহিনের বাবা বলেন, আমি আর্থিক অসচ্ছল হতদরিদ্র মানুষ আমার একমাত্র সন্তান ছাড়া আমার তো অর্থবিত্ত আর কিছুই নাই। আমি আর কিছুই চাই না হত্যার ফাঁসি চাই,। একমাত্র সন্তান হারিয়ে তারা আজ দিশাহারা মৃতপ্রায়। বাবা-মা স্বজনদের কান্না আর্তনাদ আহাজারীতে যেন আকাশ বাতাস ভারী করে তুলে।
প্রাণে বাচার শেষ চেষ্টায় প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিলেও এখান থেকেও তাকে ধরে এনে পিটানো জখম করা হয়।
আশ্রয় নেওয়া বাড়ীর মালিক বলেন।
কাঞ্চননগর ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি আবদুল হান্নান জড়িত অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জানান, প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে ওপেন টাকা খুঁজে। বক্তব্যে উপস্থিত সকলের সামনে তিনি প্রশাসনের নিরবতার কথা তুলে ধরেন। প্রশাসনের গাফেলতী অবহেলায় নীরবতায় এলাকাবাসীর মধ্যে নানা নীতিবাচক অভিযোগ উঠে। এ সময় এলাকাবাসীসহ প্রিন্ট পত্রিকা অনলাইন ইলেকট্রনিক্স টিভি মিডিয়া সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী মোজাম্মেল হক বলেন, চুরির বিষয় নয় পূর্ব শত্রু তার জেরেই তাকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে । ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দেন।
একই বাড়ির ও সমাজের বাসিন্দা পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকপিত ছকে ঘটনা সাজিয়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর পেছনে থাকতে পারে ভিন্ন কোনো কারণ। বক্তব্য
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি ছাড়াও বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে আটকৃত আসামিদের ছবি চাইলে তিনি দেবেন বলে কালক্ষেপণ করেন। বারবার চেষ্টা করো তার কাছ থেকে ছবি নেওয়া যায়নি বাকি আসামিদেরও ছবি সংক্রান্তে কোন তথ্য দেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জেরেই কিশোরদের ওপর এই হামলা চালানো হয়। বক্তব্য..
মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আনিসুর রহমান চৌধুরী।
কিশোর হত্যার বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর সর্বস্তর মানুষের মাঝে ক্ষোভ তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।
প্রতিহিংসা বিচারের নামে মব জাস্টিস নিরাপত্তাহীন নাগরিক জীবনেরঝুকি ভয় আতঙ্কে সারাদেশ । আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে এ ধরনের ঘটনা আরো বাড়বে বলেও দাবি এলাকাবাসীর সচেতন মহল জনসাধারণের।