1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
তাড়াইল উপজেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ আজিম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন এড.জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা কিশোরগঞ্জে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে এক যৌথসভায় বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার নারী সাংবাদিক; নিন্দা ও প্রতিবাদ -বিএমইউজে ময়মনসিংহে বিনার ডিজির কক্ষে তালা, বিক্ষোভ অব্যাহত রাজশাহীতে নিহত ইন্নী হত্যার বিচারের দাবিতে নান্দাইলে মানববন্ধন ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস! খাগড়াছড়িতে চার সাংবাদিকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে “বিএমইউজে” চট্টগ্রাম জেলায় প্রতিবাদ সভা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আইনজীবীদের ইফতার
শিরোনাম
তাড়াইল উপজেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ আজিম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন এড.জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা কিশোরগঞ্জে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে এক যৌথসভায় বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার নারী সাংবাদিক; নিন্দা ও প্রতিবাদ -বিএমইউজে ময়মনসিংহে বিনার ডিজির কক্ষে তালা, বিক্ষোভ অব্যাহত রাজশাহীতে নিহত ইন্নী হত্যার বিচারের দাবিতে নান্দাইলে মানববন্ধন ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস! খাগড়াছড়িতে চার সাংবাদিকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে “বিএমইউজে” চট্টগ্রাম জেলায় প্রতিবাদ সভা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আইনজীবীদের ইফতার

কিশোরগঞ্জে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের

  • প্রকাশ কাল বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫
  • ৮ বার পড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত মিঠামইন, ইটনা, নিকলী, অস্টগ্রাম উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তার পাশাপাশি করিমগঞ্জ,  হেসেনপুর, পাকুন্দিয়া সহ অন্যান্য উপজেলায়ও ঘন সবুজে বেড়ে উঠেছে বোরো ধানের আবাদ।

কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৭৮ লাখ ৮ হাজার ৯১২ মেট্রিক টন।
এরমধ্যে হেসেনপুরে আবাদ ৮১৩০ হেক্টর – উৎপাদন ৩৭৬১১ মেট্টিকটন, কিশোরগঞ্জ সদর আবাদ ৯১৫০ হেক্টর – উৎপাদন ৪১৪৫০ মেট্টিকটন, পাকুন্দিয়া আবাদ ১০২৩৫  হেক্টর – উৎপাদন ৪৮৯৪৩ মেট্টিকটন,  কটিয়াদী আবাদ ১২৮৩৫ হেক্টর – উৎপাদন ৬১৬৫০ মেট্টিকটন, করিগমগঞ্জ আবাদ ৯৮৫০ হেক্টর – উৎপাদন ৪৩৯১২ মেট্টিকটন, তাড়াইল আবাদ ১০৩৩০ হেক্টর – উৎপাদন ৪৬৫০১ মেট্টিকটন, ইটনা আবাদ ২৭৪০০ হেক্টর – উৎপাদন ১২৮৫৮৫ মেট্টিকটন, মিঠামইন আবাদ ১৫৬৯০ হেক্টর – উৎপাদন ৮০৫৪৯ মেট্টিকটন, নিকলী আবাদ ১৪৩৮০ হেক্টর – উৎপাদন ৬৮৮৮৪ মেট্টিকটন, অস্টগ্রাম আবাদ ২৪১৭০ হেক্টর – উৎপাদন ১১১১৪৭ মেট্টিকটন, বাজিতপুর আবাদ ১২৪৫৫ হেক্টর – উৎপাদন ৫৮১৪৭ মেট্টিকটন, কুলিয়ারচর আবাদ ৬৫৬৫ হেক্টর – উৎপাদন ৩০৬৭৮ মেট্টিকটন, ভৈরব আবাদ ৬৯১০ হেক্টর – উৎপাদন ৩০৮৫৭  মেট্টিকটন।

সরকারি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জেলার ৪০ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে বোরো হাইব্রীড ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে, যা ফলন বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। জেলায় উচ্চ ফলনশীল ব্রীধান-৮৯, ৯২, ৮৮, ২৯, হাইব্রীড এ্যাসেল এইট এইচ, হীরা-১। রবি ফসলে ১৫ হাজার ২০০ কৃষককে প্রনোদনার আওতায় বীজ এবং  ডিএপি ও এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

যদিও কিছু এলাকায় ধানের আগাম শীষ বের হয়েছে তবে কৃষি বিভাগের তৎপরতায় তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কৃষকরা আশা করছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলন হবে।

ইটনা উপজেলার চিলনী গ্রামের কৃষক মো. আইয়ূব আলী বলেন, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ২০০ শতাংশ জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। সময়মতো বীজ, সার ও সেচের পানি পেয়েছি। কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষনিক তদারকি করতে আসে। ধানের অবস্থা ভালো আছে, আশা করছি ভালো ফলন হবে।

করিমগঞ্জ উপজেলার চং নোয়াগাও গ্রামের বরজু মিয়া বলেন, আমি এবার বোরো আবাদ করে ভাল ফলনের আশা করতেছি। মাঝে মাঝে কৃষি অফিস থেকে অফিসার এসে আমাদের ধানের জমি দেখাশোনা করে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে কৃষকরা উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করায় শ্রমিক সংকট তেমন প্রভাব ফেলেনি। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে সেচ কাজে কোনো সমস্যা হয়নি।সার ও বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।

কিশোরগঞ্জ খামারবাড়ি কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাদিকুর রহমান বলেন, এ বছর আমাদের জেলায় ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে। তারমধ্যে হাওর উপজেলাগুলোতে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৮ লাখ ৮ হাজার ৯১২ মেট্টিকটন। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে তবে জেলায় ভাল ফলনের আশা রয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে আমরা হাওরের পাশাপাশি অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও ধান কর্তন করতে পারব।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST