নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার গোপদীঘি বাজারে গতকাল বিকেলে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মীর তিনি তার বক্তব্যে বলেন।
১৯৭৮ সনে একুয়ারের মাধ্যমে এই বাজার সৃষ্টি হয়েছে।
সেই সাথে ততকালীন সময়ে বাজার ব্যবস্হপনা কমিটি চান্দিনা ভিটি হিসেবে ১.নুরুল ইসলাম ২.আবদুল মোতালিব ৩.নির্মল চন্দ্র সরকার কে উক্ত কমিটি লিখিতভাবে বরাদ্দ বুঝিয়ে দেন।
১৯৮৫ সনে উক্ত মালিকগণ নিজে সত্তবান থাকিয়া হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুল মালেক,আব্দুস সাত্তার এর নিকট বিক্রি করিয়া দেয়।
কিন্তু রেকর্ড সিএস ও এসএ রেকর্ডের সম্পত্তির মালিক পরবর্তী অংশীদার প্রদীপ চন্দ্র দেবনাথ ও রথিশ চন্দ্র দেবনাথের নামে আরএস লিপিবদ্ধ হয়।
ফলে ১৯৮৬ সনে পুনরায় হাবিবুর রহমান হাবিব আবদুল মালেক,আব্দুস সাত্তার, প্রদীপ চন্দ্র দেবনাথ ও রথিশ চন্দ্র দেবনাথের নিকট থেকে পুনরায় ক্রয় করেন।
পরবর্তীতে ২০০২ সালে ওদুদ নামে একব্যক্তি ১৯৬৩ সালের দলিল নং ৩২৭ মূলে উক্ত জমির মালিকানা দাবি করলে পুনরায় ২০০২ সালে ওদুদ মিয়ার নিকট থেকে উক্ত জমি ক্রয় করা হয়।
উল্লেখ্য যে এলাকার কিছু ভূমি দস্যু উক্ত জমি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য জাল কাগজ পত্র তৈরি করেন। আবুল খায়ের রতন,নামে একব্যক্তি মিঠামইন থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যাহার নং ২২৫/২/২০০২ উক্ত মামলা ২০০৯ সালে বিজ্ঞ আদালত আবুল খায়ের ও মামুন গংদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য যে আদালতের মামলা ও সম্পত্তি ক্রয় করার পর থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত আমরা দোকান পাট ও ব্যবসা বাণিজ্য করিয়া আসিতেছি।
সম্প্রতি ৫ আগস্টের পর স্হানীয় আওয়ামী সিন্ডিকেট পুনরায় বিএনপি সেজে উক্ত সম্পত্তি দখল করার পায়তার করছে।যাহার নেতৃত্বে রয়েছে আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী মামুন মিয়া গং। তারই ধারাবাহিকতায় ১২ অক্টোবর ২৪, ইং তারিখ মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ সম্মেলন করেন এবং সংবাদ কর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের সহযোগিতা করেন।
তাই সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের প্রতি আমার আহবান মিথ্যাবাদী জাল দলিল সৃজনকারী মামুন মিয়া,আবুল খায়ের গংদের বিরুদ্ধে তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্হাগ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে অনন্য বক্তরা বিএনপির সোনাম নষ্ট করার জন্য ও আওয়ামী পন্থীদের পুনরায় দখলবাজিতে সহযোগিতা করার ও মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সেই সাথে এ্যাড. রফিকু ইসলাম মীর বলেন “আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন কর্মী। ছাত্র জীবনে সরকারী বাংলা কলেজ শাখা ছাত্র দলের সহ-সভাপতি, জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আমার ছোট ভাই বর্তমানে মিঠামইন উপজেলা ছাত্র দলের যুগ্ন আহ্বায়ক। অনেক মামলা ও হামলার শিকার হয়েছে আমার পরিবার। আজ সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগের লোকজন আমার পরিবারকে আওয়ামীলীগ বলে অপঃপ্রচার করছে ওইসব লোক জন।