ডেস্করিপোর্ট :
র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ কর্তৃক অভিযানে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাড়াইল থানার হত্যা মামলার ০২নং এজাহার নামীয় আসামী নেত্রকোনা থেকে গ্রেফতার।
কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানাধীন উত্তরধলা সাকিনস্থ জনৈক সাইদুল(৫০), পিতা-মৃত সমশের আলীর বাড়ীর পশ্চিম পাশের কাঁচা রাস্তার উপর গত ২২/০৯/২০২৩খ্রি. তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৬.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম হারিছ মিয়াকে জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিবাদী ১। মোঃ বাবুল মিয়া (৩৬), ২। শরীফ মিয়া (৩২), উভয় পিতা-মৃত সিদ্দিক মিয়া, সাং-উত্তর ধলা, থানা-তাড়াইল, জেলা-কিশোরগঞ্জ,সহ এজাহার নামীয় আরও ২২ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ পরস্পর যোগসাজসে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাত করিয়া নৃশংসভাবে হত্যা করে। বর্ণিত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে, উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে আল আমিন মিয়া(৩৮) বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার মামলা নং-১২/১০২, তারিখ ২৩/০৯/২০২৩খ্রি. ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ দঃ বিঃ। মামলা হওয়ার পর এজাহারনামীয় আসামীরা আটক থেকে বাচঁতে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। উক্ত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
পরবর্তীতে উক্ত মামলার ০২নং এজাহার নামীয় আসামীর অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে ও গোয়েন্দা শাখার সহযোগীতায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে র্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোঃ আশরাফুল কবির এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল গত ০৬/০৯/২০২৩খ্রি. তারিখ রাত ১১.০০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার ০২নং এজাহার নামীয় পলাতক আসামী শরীফ মিয়া(৩২), পিতা-মৃত সিদ্দিক মিয়া, সাং-উত্তর ধলা, থানা-তাড়াইল, জেলা-কিশোরগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে। উক্ত মামলার অন্যান্য আসাামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১৪ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।