মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার :
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ব্রি-ধান ৪৯ জাতের নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর কটিয়াদী উপজেলা উদ্যোগে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাকালিয়া ব্লকে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। এসময় দক্ষিণ ঝাকালিয়া গ্রামের কৃষক মো. জামাল উদ্দিনের জমিতে চাষ করা ব্রি ধান- ৪৯ জাতের নমুনা শস্য কর্তন করে ফসলের ফলন ও মান যাচাই করা হয়। জামাল মিয়ার এক বিঘা জমিতে ব্রি ধান- ৪৯ জাতের শস্য ২০মন ধান ফলন হয়েছে।
ব্রি ধান- ৪৯ জাতের শস্য রোপা আমন মৌসুমে চাষ করা হয়। ব্রি ধান- ৪৯-এর নমুনা কর্তন করার মাধ্যমে ফসলের ফলন ও মান যাচাই করা হয়। এর মাধ্যমে কৃষকরা তাদের ভুলত্রুটি সংশোধন করে পরবর্তী ফসল চাষের জন্য সঠিক ধারণা পান।
জালালপুর ইউনিয়ের ঝাকালিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের পরিসংখ্যান তদন্তকারী কর্মকর্তা দীপংকর কুমার বিশ্বাস, জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী কর্মকর্তা মো: আল আমিন খান, মাহবুবা রহমান, চেইনম্যান ছাবিকুন্নাহার, কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক মাইনুল হক মেনু, জালালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন হারুন, কৃষক মো. জামাল উদ্দিন, মো. তাজুল ইসলাম ও আ. বাতেন প্রমুখ।
দক্ষিণ ঝাকালিয়া গ্রামের কৃষক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আমি কটিয়াদী কৃষি অফিস থেকে বীজ নিয়ে ৪৯ ধান রোপন করেছি। আমার জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। কৃষি অফিসার আমাকে সবসময় সকল প্রকার পরামর্শ দিয়েছেন।
জালালপুর ইউনিয়ের ঝাকালিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ব্রি ধান- ৪৯’জাতের শস্য সারাদেশে রোপা আমন মৌসুমে চাষাবাদ করা হয়। আমার ঝাকালিয়া ব্লকে ফলন অনেক ভালো হয়েছে। এতে কৃষকগণ অনেক খুশি। আমি নিয়মিত কৃষদেরকে বালাই নাশক ও কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছি।
কটিয়াদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.শফিকুল ইসলাম ভূঞা জানান, ব্রি ধান- ৪৯ এটি কৃষকদের একটি জনপ্রিয় জাত। এই জাতটি জাতটি এ বছর উপজেলার একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নে আমনের মৌসুমে ১২ হাজার ১৪৩ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে, তারমধ্যে ৩ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান- ৪৯ জাত আবাদ করেছেন কৃষকরা। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি ধান-৪৯ জাতটি বিশেষভাবে কৃষকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। নমুনা ফসল কর্তনে দেখা যায়, এক বিঘা (৩৫ শতক) জমিতে ২০ মণ ধান উৎপাদিত হয়েছে, যা প্রচলিত আমন জাতগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।