1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ব্রিটিশ আমল থেকে টিনশেড ঘরে চলছে গোলক চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সহযোগী কর্মকর্তাদের ঘাঁটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নেত্রকোনায় সাংবাদিক নির্যাতন মামলার প্রধান  আসামী গ্রেফতার ময়মনসিংহ বিসিএস এর প্রার্থীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন মাহে রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত শ্রীপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের কমিটি গঠন ফের লিবিয়া থেকে ১৭৬ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফের সরিষাবাড়ীতে ২৫০ জন নারী উদ্যোক্তার মাঝে চেক বিতরণ দুর্গাপুর খাদ্য গুদাম থেকে অনুপযোগী ৮০ মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করলেন -ইউএনও মদনে ডাকাতি মামলার আসামি ইয়াবা সম্রাট (আরিফ) গ্রেপ্তার
শিরোনাম
ব্রিটিশ আমল থেকে টিনশেড ঘরে চলছে গোলক চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সহযোগী কর্মকর্তাদের ঘাঁটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নেত্রকোনায় সাংবাদিক নির্যাতন মামলার প্রধান  আসামী গ্রেফতার ময়মনসিংহ বিসিএস এর প্রার্থীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন মাহে রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত শ্রীপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের কমিটি গঠন ফের লিবিয়া থেকে ১৭৬ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফের সরিষাবাড়ীতে ২৫০ জন নারী উদ্যোক্তার মাঝে চেক বিতরণ দুর্গাপুর খাদ্য গুদাম থেকে অনুপযোগী ৮০ মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করলেন -ইউএনও মদনে ডাকাতি মামলার আসামি ইয়াবা সম্রাট (আরিফ) গ্রেপ্তার

ব্রিটিশ আমল থেকে টিনশেড ঘরে চলছে গোলক চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান

  • প্রকাশ কাল শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার পড়েছে


সাব্বির আহমেদ মানিক, বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ৬১ নম্বর গোলক চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্রিটিশ আমল থেকে প্রায় ৮৭ বছর ধরে জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে চলছে পাঠদান। আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল শিক্ষার যুগেও শতাধিক শিক্ষার্থী আজও ঠাঁই নিয়েছে অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ শ্রেণিকক্ষে প্রতিষ্ঠার ইতিহাস১৯৩৮ সালে জমিদাতা সতীশ চন্দ্র সাহা তাঁর পিতা গোলক চন্দ্র সাহার নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমে বাঁশের বেড়ায় পাঠদান শুরু হলেও অনেকদিন দরজা-জানালা পর্যন্ত ছিল না; খোলা আকাশের নিচেই ক্লাস হতো। অল্প কিছুদিন পর টিনশেড ভবন নির্মিত হয়। এরপর কেটে গেছে প্রায় নয় দশক, কিন্তু আজও বিদ্যালয়টির স্থায়ী কোনো ভবন হয়নি। অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সর্বনিম্ন সাত শতাংশ জমি থাকা প্রয়োজন হলেও বর্তমানে বিদ্যালয়ের জায়গা আছে মাত্র দুই শতাংশ। স্থানীয়রা মনে করেন, সরকার আশপাশের খাসজমি অধিগ্রহণ করে স্কুলের ঐতিহ্য রক্ষা করতে উদ্যোগ নেবে।

বর্তমান অবস্থা বিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র তিনটি ছোট শ্রেণিকক্ষ ও একটি অফিস কক্ষ। ছয়জন শিক্ষক ও একজন দপ্তরির তত্ত্বাবধানে ১৫৩ জন শিক্ষার্থীকে গাদাগাদি করে পড়াশোনা করতে হয়। নেই টয়লেট, নেই টিউবওয়েল, নেই খেলার মাঠ। বর্ষায় কক্ষে পানি ঢুকে যায়, আর গরমে অসহ্য ভোগান্তি হয়। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সমৃদ্ধি সাহা জানায়, “বৃষ্টির দিনে ভেতরে পানি ঢুকে যায়। গরমে অনেক কষ্ট হয়। সবাই গাদাগাদি করে বসতে হয়। অন্য স্কুলে বড় বিল্ডিং থাকলেও আমাদের স্কুলে পুরানো টিনের ঘর, খারাপ লাগে। অনেক ছাত্রছাত্রী অন্য স্কুলে চলে যায়।” অভিভাবক রাজ্জাকুন্নেছা জেসমিন বলেন, “শ্রেণিকক্ষ ছোট হওয়ায় আলো-বাতাস ঢোকে না। শিশুরা বারবার জ্বরে-সর্দিতে আক্রান্ত হয়।” বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরানী সাহা জানান, “দীর্ঘদিন জমি সংকটের কারণে নতুন ভবন নির্মাণ সম্ভব হয়নি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো টয়লেট নেই। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত একটি নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।” প্রশাসনের আশ্বাস উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশপাশে খাস জমি আছে, আশা করছি ব্যবস্থা হবে।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারাশিদ বিন এনাম বলেন, “অবকাঠামোগত সংকট সমাধানে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ইতোমধ্যে বিদ্যালয় ভবন সংস্কারের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে পত্র প্রেরণ ও যোগাযোগ করা হয়েছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবো।” স্থানীয়দের দাবি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ওয়াশিমুল হক বলেন, “এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ভবনের জন্য অপেক্ষা করছে। আশা করছি সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।” প্রাক্তন শিক্ষার্থী সালমা আক্তার স্মৃতিচারণ করে বলেন, “১৯৮৩ সালে আমি এই বিদ্যালয়ে পড়েছি। তখনো দরজা-জানালা ছিল না, একত্রে ক্লাস হতো। আলমারি পর্যন্ত বাড়িতে রাখতে হতো। আজও স্কুলটির পাকা ভবন নেই—দেখতে খারাপ লাগে।”বিশেষজ্ঞদের মত শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিদ্যালয়টিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (PEDP)-এর আওতায় এনে দ্রুত বহুতল ভবন নির্মাণ করা ।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST