মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (আইএবি) এর আয়োজনে ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর কটিয়াদী কলামহাল দরগাহ জামে মসজিদের সংলগ্ন মাঠ থেকে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সংহতি প্রকাশ করে মিছিলে অংশ নেয়। এছাড়াও কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন খাঁন দিলীপসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে মিছিলে যোগদান করেছেন।
মিছিলটি কটিয়াদী পৌর সদরের প্রধান প্রধার্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে বাস্ট্যান্ডে গিয়ে সমাবেশ করে। মিছিলে বিভিন্ন ব্যানার ফেষ্টুন লিখে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পক্ষে নানান দাবি জানানো হয়েছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ বলেন, ফিলিস্তিনে যা ঘটছে, তা শুধু তাদের ধ্বংস নয়, এটা বিশ্ব মুসলমানদের নিঃশেষ করার একটি ষড়যন্ত্র। মুসলিম বিশ্ব কার্যকরভাবে ঐক্যবদ্ধ হলে ইহুদিরা এতটা সাহস দেখাতে পারত না বলে অভিমত বক্তাদের।
তারা বলেন, ‘বিশ্বের কয়েকটি পরাশক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে বহু আগেই ফিলিস্তিনে গণহত্যা শুরু হয়েছে। আজ ফিলিস্তিনের মানুষ নিজেদের দেশেই পরবাসী। অথচ মুসলিম বিশ্বের মোড়লদের কার্যকর কোনো ভূমিকা নেই। তারা মুখ খুলছে না, অবস্থান নিচ্ছে না।’ গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন চলছে, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আজ গাজা যেন অবরুদ্ধ খাঁচা, যেখানে শিশু ও নারীদের ওপর বর্বরতা চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার।’
‘ফিলিস্তিনে যুগের পর যুগ ধরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চলছে। নারী-পুরুষ কেউ রেহাই পাচ্ছে না। এটা সরাসরি মানবতাবিরোধী অপরাধ। দেশের সাধারণ মানুষ দল–মতনির্বিশেষে ফিলিস্তিনের পক্ষে, কিন্তু বুদ্ধিজীবীদের থেকে তেমন কোনো অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। জাতিসংঘও নিস্ক্রিয় একটি ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে গেছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেছেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনের কটিয়াদী উপজেলা সভাপতি শোয়েব ভুঁইয়া, সহ সভাপতি মুফতি বরকত হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামিম হাবিবী, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আফসারী, মুজাহিদ কমিটির সদর মাওলানা কামাল উদ্দিন, মাওলানা জহিরুল হক, কুরআন শিক্ষা বোর্ডের মাওলানা মুফতি শহিদুল্লাহ সিরাজগঞ্জী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা ওয়েস কারনী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ।