ওমায়ের আহমেদ শাওন :
বিপ্লবের পরে মানুষ তার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আবেগ, অনুভূতি হৃদয় খুলে প্রকাশ করতে চায়। একটি মানবিক ও নিরাপত্তার দেশ চায়। কিন্তু বিপ্লব পূর্ববর্তী স্বৈরাচারের অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার না করে জনগণকে সহমর্মিতার বাণী শোনানোর যুগ চলে গেছে-। বিচারহীন রাষ্ট্র জনগণের কাম্য নয়, এই টার্ম সরকারকে বুঝতে হবে।
চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের শাস্তি না দেওয়ায় সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন অপরাধ বেড়ে চলেছে। প্রচলিত আইনে কোন অপরাধের নিরপেক্ষ বিচার সম্ভব নয়। সেজন্য পুরনো আইন গুলো সংষ্কার জরুরী।
জনগণের প্রয়োজনে পুরো সংবিধান বাতিল করে নতুন করে আবার “জনতার সংবিধান” লেখা হোক বলে অভিমত প্রকাশ করছে অনেকেই।
নিম্নে কতিপয় অপরাধ তুলে ধরা হলোঃ
★ হত্যা
★ ধর্ষণ
★ ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা
★ চুরি/ছিনতাই/ডাকাতি
★ দূর্নীতি
★ মব জাস্টিস
উপরোক্ত ছয়টি অপরাধের বিচারের জন্য অতি দ্রুত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। এবং দ্রুত বিচারের রায় দিয়ে তাহা বাস্তবায়ন করতে হবে।
(সংঘবদ্ধ যেকোন অপরাধের বিচারের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করতে হবে)
আবার উপরোক্ত অপরাধের কোনটির সাথে যদি প্রশাসনের কেউ জড়িত হয় বা জড়িত থাকে বলে প্রমাণিত হয় তাহলে তার জন্য দ্বিগুণ শাস্তির বিধান রেখে আইন করতে হবে।
কথায় আছে, “বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে”
যদি সেরকমই হয়; বর্তমান সরকার বিচার করতে ব্যর্থ হলে বা গড়িমসি করলে নতুবা অহেতুক অনিহায় দিন অতিক্রম করে তাহলে ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার দায় কাঁধে নিয়ে নির্বাচন দিয়ে দ্রুততম পদত্যাগ করতে হবে।
গণঅভ্যুত্থানের কয়েক মাস হয়ে গেলো, কোন ইনসাফ মাফিক বিচার দেখা যায়নি। যাহা জাতির জন্য অশনি সংকেত !
শুধুমাত্র অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলেই দেশ চালানো যায় না, চিহ্নিত অপরাধীদের বিচার করাও জরুরী।
দয়া দেখিয়ে কিংবা ভয়ের কারণে যেসব সন্ত্রাসীদের বিচার করছেন না; তারা দেশ ও জনগণের জন্য হিংস্র হয়ে উঠবে। এ দায়ভার ও ঘৃণা সরকারকে নিতে হবে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসকে পূঁজি করে যারা পতিত সন্ত্রাসীদের সাথে আঁতাত করে দেশকে বিচারহীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছেন, তাদের সে আশা ঈনশা-আল্লাহ স্বপ্নভঙ্গ হবে। উপদেষ্টা পর্যায়ে অনেক দালাল ও চাটুকার ঢুকে পড়েছে আমরা জানি এবং তাদের সমূলে চিনি। দেশের স্বার্থে যদি তারা নিজেদের না শোধরান তাহলে গলা ধাক্কা দিয়ে তাদের ফেলে দেওয়া হবে। নিজেদের দায়িত্ব পালনে যদি গাফিলতি অথবা দেশকে অস্থিতিশীল করবার ষড়যন্ত্রের ছক কষার চিন্তা করেন তাহলে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব থেকে নিবৃত হন। দায়িত্ব নেওয়ার মতো সুযোগ্য মানুষ দেশে অগণিত আছে।
সন্ত্রাসীরা আমার ভাই-বোনদের খুন করেছে সেখানে আপনি ক্ষমা করার কে ?
হত্যার বদলে বিচারিক ভাবে সর্বোচ্চ শাস্তি; এটিই ইনসাফ।
মনে রাখবেন, বড় মাপের অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার না করাটাও একটা বড় ধরনের অপরাধ।
দেশে বিচারহীনতা চলতে থাকলে আমরা ইসলামি আইন জারির জন্য জিহাদের ডাক দিবো-। তখন থিউরি নীতি ও সুশীলগিরী কই গিয়ে ঠেকবে ভেবে দেখেছেন ?
ইনকিলাব জিন্দাবাদ
আল্লাহু আকবার ।।