ফারজানা আক্তার, প্রতিনিধি কুলিয়ারচরঃ কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ছয়সূতি বাসষ্ট্যান্ড একালায় ঈদে-মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসকে কেন্দ্র সুন্নী-ওয়াহাবী দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়।সংঘর্ষে মির মিলন মিয়া(৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরো অন্তত ৩০জন।মিলন মিয়া ছয়সূতি এলাকার একটি কাঠের স মিলের স্বত্বাধীকারি বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, আজ সকালে ছয়সূতী প্রতাপনাথ বাজার সংলগ্ন মঞ্জরুল হামিদিয়া মাজার থেকে জশনে জুলুশের একটি র্যালী বের হয়ে র্যালী থেকে ছয়সূতী বাসষ্ট্যান্ডে মসজিদে ইট- পাটকেল নিক্ষেপ করে মসজিদের জানালার কাচঁ ভাংচুর করে এ সময় মসজিদেন ভিতরে থাকা বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়। এ ঘটনায় তাবলীগ জামাতের ( ওয়াহাবি) লোকজনের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়।সংঘর্ষে মিলন মিয়া নামে এক ব্যক্তি আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। এছাড়া অন্যান্য আহতদের কে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর ইমাম- উলামা পরিষদের পক্ষে মুফতি নাসির উদ্দীন রহমানী বলেন, তারা কোন ভাংচুর করেননি। মাজার পন্থিরা মসজিদে হামরা চালিয়ে ভাংচুর করেছে । এ সময় তাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে । এ বিষয়ে মাজারের খাদেম সৈয়দ ফয়জুল আল আমিন মসজিদে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তৃতীয় কোন পক্ষ মসজিদে হামলা করে থাকতে পারে। তবে তাবলীগ জামাতের কয়েকশত লোক মাজারে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে । এছাড়া নারী শিশুসহ হামলায় ১০/১২ জন আহত হয়েছে ।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সারোয়ার জাহান জানান, শোনেছি সংঘর্ষে ১ জন মারা গেছে।