স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে কিশোরগঞ্জের মেঘনা, ধনু ও ঘোড়াউত্রা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান ইটনা বাজারে ধনু নদীতে ৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ভৈরব বাজারে মেঘনা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও পানির স্তর বিপদ সীমার নিচে রয়েছে। উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ইতিমধ্যেই হাওর উপজেলা ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী, করিমগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধি হতে থাকলে কিশোরগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা দেখা দেবে।
এদিকে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান জানান, আগাম বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রত্যেক উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হাওর এলাকায় কোনো ফসল না থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলেও জানান তিনি। তবে ভাসান পানির স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে হাওর অঞ্চলের বাড়িঘরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে চাইরা ও কচুরীপানা দিয়ে ঢেউ থেকে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।