হুমায়ুন রশিদ জুয়েল :
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে পর্যন্ত সর্বশেষ গণনা শেষে জানা যায়, ৯টি দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ২৮ বস্তায় মোট টাকা ৭কোটি ২২ লক্ষ, ১৩ হাজার ৪৬ টাকা।
৩ মাস ২৬ দিন পর আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৮টায় এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার তরিকুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৩ মাস ২৬ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছে। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়।
জনশ্রুতি আছে, কোনো এক সময় একজন আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা চরে। ওই পাগল সাধকের মৃত্যুর পর এখানে নির্মিত মসজিদটি পাগলা মসজিদ হিসেবে পরিচিতি পায়। পাগলা মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ এ মসজিদে দান করে থাকেন। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার এখানে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।
এর আগে সর্বশেষ ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়, যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছিল। ২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।
আরো লক্ষ্য করা গেছে সার্বক্ষণিক মনিটরিং কাজে অবস্থান ছিলেন কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার ওয়াকফ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আলালউদ্দিন ,তাছাড়া এবার টাকা গণনার কাজে, ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা সহ ২৫৮জন শিক্ষার্থীও গণনার কাজে অংশ গ্রহণ করেন।