সঞ্জিত চন্দ্র শীল
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সংস্কারের অভাবে ও অবৈধ দোকানপাট নির্মানের ফলে মো. জালাল উদ্দিন নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরের অস্তিত্ব বিলীনের পথে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পুমদি ইউনিয়নের রামপুর বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জালাল উদ্দিনের নির্ধারিত কবরস্থানটির চারিদিকে দোকানপাঠ আর জঙ্গলে ঘেরাও হয়ে আছে। দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়া ও রক্ষণাবেক্ষণ ও অবৈধ দোকানপাঠ নির্মানের ফলে বিলীন হওয়ার আশংকায় রয়েছে কবরটি।
১৯৭১ সালে বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জালাল উদ্দিন ভারতে ট্রেনিং শেষে বাংলাদেশে এসে স্বাধীনতার জন্য যোদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে ছিলেন এবং ৯ মাস যোদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করে বাড়িতে ফিরেছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মোঃ জালাল উদ্দিন এর ভারতীয় তালিকায় ক্রমিক নং ছিল -১২৩২৮,বই নং ৬, লাল মুক্তিবার্তার ক্রমিক নম্বর -১১৭১৩০০৩৩, বেসামরিক গেজেট নং ২৩২২ গেজেটের পৃষ্ঠা ও তারিখ ২৭৬৪,১২-০৫-২০০৫।
পরে, স্বাধীনতার ১৩ বছর পর ১৯৮৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তাকে রামপুর বাজারের নিজ পারিবারিক কবরস্থানে
কবর দেওয়া হয়। মৃত্যুকালে তিনি কোনো স্ত্রী ও কোন সন্তান রেখে যাননি।
মুক্তিযোদ্ধা মো. জালাল উদ্দিন এঁর ভাই ও ভাতিজা জানান,কবরের চারিদিকে দোকান পাট নির্মাণের কারণে এ কবরটির অস্তিত্ব বিলীন হতে পারে। তারা এ কবরটি মেরামত করে এ জায়গাটুকুকে জালা চত্বর করার দাবি জানান।
রামপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও হোসেনপুর মডেল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত চন্দ্র শীল জানান,কবরটি সংস্কার করা দ্রুত প্রয়োজন।একইসাথে রামপুর বাজারের মোড়টি বীরমুক্তিযোদ্ধা জালাল ছবি দিয়ে শ্রেতপাতর এর মাধ্যমে জালাল চত্বর করা হোক।
উপজেলার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন জানান, কবরস্থানটির আশেপাশের জায়গা খাস জমি। এ খাস জায়গার অবৈধ দোকান পাঠ উচ্ছেদ করে তার কবরটি সংস্কার করা দরকার৷
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল জানান, কবরটি শীঘ্রই সংস্কার করা হবে। কবরটি সংস্কার করার সময় খাস জমিতে দোকানপাঠ থাকলে সেগুলোও উচ্ছেদ করা হবে।