সোহেল রানা রাজশাহী
ব্যুরো
রাজশাহী: কেনাকাটা খাতে প্রায় সাত কোটি টাকার অনিয়ম খতিয়ে দেখতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সদর দপ্তর ও রেলওয়ে হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল এলাকায় অবস্থিত রেলওয়ে হাসপাতালে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।
টিমে নেতৃত্ব দেন দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন। অন্য সদস্যরা হলেন উপ-সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও সহকারী পরিদর্শক মাজবুবুর রহমান।
এসময় তারা বিভাগীয় মেডিক্যাল অফিসার ডা. এসএম মারুফুল ইসলামকে অনিয়মের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। হাসপাতালের কেনাকাটা ও খরচ-সংক্রান্ত বেশকিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করেন তারা। পরে রেল ভবনে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারের দপ্তরেও যায় দুদকের টিম। তার কাছ থেকে এ-সংক্রান্ত কিছু নথিপত্র তলব করে দুদক।
দুদক টিম এসময় রাজশাহী রেলের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে। এছাড়া, বেশকিছু কাগজপত্রও জব্দ করেন তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের রেলওয়ে হাসপাতালগুলোতে কেনাকাটা খাতে প্রায় সাত কোটি টাকার অনিয়ম খতিয়ে দেখছে দুদক। হাসপাতালগুলোতে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বিভিন্ন খরচের ওপর অডিট করে মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের টিম। ২০১৯ সালের মার্চ ও এপ্রিলে এই অডিট সম্পন্ন হয়। এতে ধরা পড়ে বিভিন্ন খাতে খরচের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়মনীতি মানা হয়নি। এই অডিটে সাত কোটি ২০ লাখ টাকা খরচে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে হাসপাতালের বিভাগীয় মেডিক্যাল অফিসার ডা. এসএম মারুফুল ইসলাম বলেন, দুদকের টিম হাসপাতালে এসেছিল। তারা আমাদের কাছে নানা অনিয়মের তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। বেশকিছু নথিপত্রও নিয়ে গেছেন। আরও রেকর্ডপত্র চেয়েছেন।
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, পুরোনো কিছু কেনাকাটা ও খরচের বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। সব তথ্য দিয়েছি