সোহেল রানা রাজশাহী
সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বিএফ.৭ সংক্রমণরোধে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭ সংক্রমণরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বাড়তি সতর্কতামূলক কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে আসা সব ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে করাসহ বিভিন্ন সতর্কতামূলক কাজ নিয়েছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
সিভিল সার্জন ডা. এসএম মাহমুদুর রশিদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ওমিক্রনের উপধরন বিএফ.৭ শনাক্ত হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশেও তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা। এ অবস্থায় গত রোববার দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে সন্দেহজনক যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরই অংশ হিসেবে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদুর আরও বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখছি। এই মুহূর্তে ব্যাপক আকারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেডিকেল টিমের সদস্যরা রুটিনমাফিক কাজ চলমান রেখেছে। সীমান্তে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় অস্বাভাবিক কাউকে দেখতে পেলে তার ব্যাপক স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, করোনার সময়ের শুরু থেকেই সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ ও খালাস কার্যক্রম শুরু হয়। করোনাকালীন পরিস্থিতির উন্নয়ন হলেও বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকরণ সোনামসজিদ স্থলবন্দরে মজুত রয়েছে। সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ায়, স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সরঞ্জামগুলো আবারও কঠোরভাবে ব্যবহার করা হবে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাফর ইকবাল মোবাইলে বলেন, করোনাকালীন পরিস্থিতির উন্নয়ন হলেও সোনামসজিদ স্থলবন্দরে যাত্রী আসা-যাওয়া শুরু হয়নি। সীমিত পরিমাণে যেসব লোকজন যাতায়াত করছে, তাদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যথাযথ নির্দেশনা অনুসরণ করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।