মোঃ মাসুদ রানা, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার হরিণা পিপুলবাড়িয়া বাজারের একজন মানবিক দোকানদার আব্দুর রশিদ (৫৮)। পেশায় তিনি একজন দোকানদার হলেও তাকে সবাই চেনেন ‘শালিকপ্রেমী’ ও পাখিপ্রেমীক হিসেবে। তার দোকানের সামনে ছুটে আসে শত শত শালিক পাখি। নিয়ম করে তাদের দুবেলা খাবার খেতে দেন আব্দুর রশিদ। এতেই অবলা এই প্রাণীর সঙ্গে তার গড়ে উঠেছে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা।
ভোরে দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই অসংখ্য বাদামি রঙের ছোট বড় মাঝারি আকৃতির শালিক পাখির কিচিরমিচি শব্দে মুখর হয়ে ওঠে আব্দুর রশিদের দোকানের আশপাশ। পাখিদের এমন দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন পথচারীসহ আশপাশের মানুষ। রশিদ ও শালিকের এক যুগেরও বেশি সময়ের এমন বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
আব্দুর রশিদ সদর উপজেলার ২নং বাগবাটি ইউনিয়নের কানগাঁতী গ্রামের মৃত জয়নাল সেখের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোরে দিনের আলো ফোঁটার সময় আব্দুর রশিদ দোকান খোলার আগে দোকানের সামনের সড়কের পাশে চানাচুর ছিটিয়ে দেন। এতে ঝাঁকে ঝাঁকে শালিক খাবার খেতে রাস্তায় নেমে আসে। খাবার খাওয়া শেষ হতেই তারা উড়ে চলে যায়। আবার ফিরে আসে দুপুরে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন,আব্দুল রশিদের কাজটি অত্যন্ত প্রসংশনীয়। ইসলামও আমাদের এই শিক্ষা দেয়।
পাখিপ্রেমী আব্দুর রশিদ বলেন, প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পাখিগুলোকে দুবেলা খাওয়াতে পেরে আমি আনন্দিত। এজন্য আমার প্রতিদিন ১০০-১২০ টাকা খরচ হয়। তবুও আমি পাখিদের খাওয়ানো বাদ দেইনি। এটা অব্যাহত থাকবে।’