নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ৮নং মারিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের উত্তর মোল্লাপাড়া গ্রামের আঃ কাদিরের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান মিজান ওরফে প্রতারক মিজান আটক হয়েছে। র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ কর্তৃক অভিযানে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে আটক করে। পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় থাকা সোপর্দ করা হয়।
বিভিন্ন মামলা ও স্হানীয় সুএে জানা যায়, ১ম স্ত্রীর ঘরে চার কন্যা সন্তানের জনক । ছোটবেলা থেকেই সে অপরাধ জগতের বাসিন্দা। সীমাহীন লাম্পট্যের কারণে গ্রামবাসীরা তাকে “লম্পট মিজান” নামেই বেশি চেনে। ভুক্তভোগীদের দাবি, ১ম স্ত্রীকে গোপন করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে গত ১৮/০২/২০২১ ইং তারিখে রেজিষ্ট্রিকৃত কাবিননামামূলে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় মিজান ও মাহিনুর।
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার ভাতকাঠি এলাকার মুর্শেদ হাওলাদারের মেয়ে মাহিনুর আক্তারকে গোপনে বিয়ে করার পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্যে অমানবিক নির্যাতন করে যৌতুকলোভী স্বামী মিজান। পাষণ্ড স্বামী মিজানের সীমাহীন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে অবশেষে ঝালকাঠি জেলায় স্বামী মিজানের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগে মামলা করেন মাহিনুর আক্তার । সি.আর.মামলা নং-৩৭/২২, তারিখঃ ২৮/০২/২০২২ ইং । এই মামলায় স্বামী মিজানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর আবেদনও জানান স্ত্রী মাহিনুর। নির্যাতিত স্ত্রী মাহিনুরের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মিজানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে আদালত। ঝালকাঠি জেলার মেয়ে মাহিনুরের যৌতুক মামলার আসামি মিজানের গ্রেফতারি পরোয়ানা ও গ্রেফতারের বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ নিশ্চিত করেছেন। তাছাড়াও, বর্তমানে মিজানের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ ও ঝালকাঠি জেলায় একাধিক ফৌজদারি মামলাও চলমান। এমতাবস্থায়, ভুক্তভোগীসহ উক্ত গ্রামবাসী এই ভয়ংকর অপরাধী মিজানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।
উল্লেখ্য, এই লম্পট মিজান দীর্ঘদিন দেহ-ব্যবসা করে অবশেষে গত ২০১৯ ইং সালের অক্টোবর মাসে পতিতাসহ নিজ গ্রামে ধরা পড়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছিল। এই গণধোলাইয়ের ঘটনাটি জাতীয় সংবাদপত্র দৈনিক গৃহকোণ পত্রিকায় গত ৪ নভেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে “যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করলো গ্রামবাসী” শিরোনামে প্রকাশিত হওয়ায় নারীর দেহ-ব্যবসায়ী মিজানের বিরুদ্ধে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় ওঠে ।
তাকে আটক করায় কিশোরগঞ্জের নিরীহ মানুষের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে।