পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় পরিবারের চার সদস্যকে অজ্ঞান করে প্রেমি সাইফুল হাওলাদারের হাত ধরে উধাও হয়েছে এক স্কুলছাত্রী।উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের ৫ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ৪নম্বর ইকড়ি ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইয়াকুব হাওলাদারের ছেলে সাইফুল হাওলাদারের সাথে একই গ্রামের মুদিব্যবসায়ী দিলীপ চন্দ্র রায়ের মেয়ে স্থানীয় ইকড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।তারা উভয়েই ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় তাদের প্রেমের সম্পর্ক কেউ মেনে নেয়নি।
একপর্যায়ে গত শনিবার রাতে মুদি ব্যবসায়ী দিলীপ চন্দ্র রায় প্রতিদিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায় এবং রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুমিতে পড়ে।কিন্তু ব্যবসায়ী দিলীপ চন্দ্র রায়ের মেয়ে প্রেমিক সাইফুলের পরামর্শে খাবারের সাথে আগে থেকেই অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ মিষিয়ে রাখে।ওই খাবার খেয়ে বাবা দিলীপ চন্দ্র রায়(৬০),মা ছবি রানী(৫০),বড় ভাই তাপস চন্দ্র রায়(২০),ছোট ভাই অপূর্ব চন্দ্র রায়(১৪)অজ্ঞান হয়ে পড়ে।এই সুযোগে প্রেমিক-প্রেমিকা ঘরের আলমিরা ভেঙে সাত থেকে আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে উধাও হয়।স্থানীয়রা ওই পরিবারের সদস্যদের দুপুর পর্যন্ত গভীরঘুমে অচেতন দেখে জস্বনদের খবর দেয়।খবর পেয়ে স্বজন কমল কৃষ্ম হালদার দুপুর দের টায় দিকে অচেতন পরিবারের সকলকে ভান্ডারিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দিলীপ চন্দ্র রায় কিছুটা সুস্থ্য হয়েছেন।তবে বাকিরা অচেতন রয়েছে।ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:কামাল হোসেন মুফতী জানান,একই পরিবারের চার সদস্যকে দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তাদের মধ্যে একজন মোটামুটি সুস্থ্য।বাকীদের চিকিৎসা চলছে।তবে ভয়ের কিছু নেই,আশা করি খুব দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবে সবাই।ভান্ডারিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ(ওসি)মো:মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।নাবালিকাকে উদ্ধারের তৎপরতা চলছে এবং মামলা প্রক্রীয়াধীন।