বহুল প্রতীক্ষিত টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। হবেই না কেন! আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে খর্বকায় নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রস্তুতি ঝালিয়ে নেওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ টিম টাইগার্সের সামনে।তবে এক লহমায় যেন মিরপুর থেকে সব দৃষ্টি ঘুরে গেছে ফেসবুকের এক লাইভে।বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ করেই লাইভে এসে আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে না খেলার কথা জানান দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।তার এই সিদ্ধান্তে হতবাক নির্বাচকরাও।
তামিমের সমালোচনায় অনেকে মেতে উঠলেও মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা সাফ জানিয়েছেন তার অবস্থান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তামিমের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে না খেলা নিয়ে মাশরাফীর স্ট্যাটাসটি দৈনিক তোকদার নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলোঃ-
আনডাউটলি বাংলাদেশের সেরা একজন ব্যাটসম্যান স্ট্যাটাসও তাই বলে। টি ২০ বিশ্বকাপ খেলার সব যোগ্যতা তার আছে, ক্রিকেট বোর্ড টিম ম্যানেজম্যান্ট সবাই তাকে টিমে রাখবে এটা সবারই জানা। কেন তামিম এ সিদ্ধান্ত নিলেন তার যুক্তিও আছে অনেক। প্রথম হলো তামিমের ইনজুরি, তারপর প্রায় এই দিয়ে চারটা সিরিজ সে খেলতে পারেননি তার মানে প্রায় ১৬টা ম্যাচ, এতে করে হঠাৎ কোন ম্যাচ না খেলে মাঠে নামার পর নিজের উপর নিজের বিশাল চাপ সৃষ্টি হবে। যার পরে তার ওয়ানডে বা টেস্টে ওঁকে ক্যারি করতে হতে পারে। কথা হলো এখন যারা খেলছে তারা তো রান করেনি আবার সেখানেও কথা আছে, যে উইকেটে খেলা হচ্ছে সেখানে রিয়াদ ছাড়া আর কোন দলের খেলোয়ারই ৫০ ছুঁতে পারেনি। ট্রু ইউকেটে বিচার না করা একেবারেই অন্যায় হবে সৌম্য, লিটন বা নাঈম এর সাথে। সমস্ত কঠিন সিরিজ গুলো সত্যিই এই ছেলেগুলো পার করছে।
তামিমের সিদ্ধান্তকে জাস্টিফাই করা খুব কঠিন কাজ না পুরোটাই পজিটিভ ভাবে দেখলে সেটা হলো প্রথমতো এটা একান্তই তামিমের সিদ্ধান্ত, এরপর সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা ছিলো তামিম সব সময় ড্রেসিং রুমে ওয়েলকামিং পারসন, কিন্তু ১৬টা আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা কোন প্রাকটিস ম্যাচ ছাড়া এবার সে কতোটুকু ওয়েলকামিং হতো তা হয়তো তাকে ভাবিয়েছে। আর কেউ না বুঝুক তামিম নিজেও জানে এখন ব্যাটসম্যানরা কেমন উইকেটে ব্যাটিং করছে যেখানে তাদের ভুল থাকলেও তাদের খুব বেশি কিছু করার নাই। আজকের উইকেট তো অস্ট্রেলিয়ার সময়ের ইউকেট থেকেও ভয়ানক স্লো। এর পর কী অপেক্ষা করছে কে জানে। আর এতোকিছুর পরও তামিমকে দলে ঢোকার জন্য কারও খারাপ খেলার প্রয়োজনও নাই এটা সবারই জানা কারণ তামিম দলের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন।
তাই আমার কাছে মনে হয়েছে তামিম তার নিজের সিদ্ধান্ত নিজে ভেবেই নিয়েছে যেটাকে সম্মান জানানো উচিত। টপ অর্ডারের অস্থিরতাও হয়তো কিছুটা কমবে।সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিষয় হলো,কোন কোন সিদ্ধান্ত মানুষের জীবন পাল্টে দেয়,আমার কাছে মনে হয় এই সিদ্ধান্তের কারনে,তামিম যখন ওয়ানডের নেক্সট ম্যাচেই ক্যাপটেন হিসাবে মাঠে নামবে এই ছেলে গুলো ওর জন্য জীবন বাজি রেখে খেলবে।কারন কেউ করুক আর না করুক তামিম নিজেই এই ছেলে গুলোর হার্ডওয়ার্ক কে প্রপার জাস্টিফাই করেছে।
আর তামিম স্টিল দ্যা বেস্ট এন্ড উইল বি রিমেইন ইনশাল্লাহ। এই ফরমেটে জোর করে খেলে অবশ্যই টেস্ট, ওয়ানডের সেরা ব্যাটসম্যানকে আপসেট কেউ দেখতে চাইবো না। তামিমের এখনও অনেক ম্যাচ জেতানোর বাকি আছে।
আজ বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে জিতেছে একরকম নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েই। এভাবে উড়াতে থাকো বন্ধুরা।
বিডি// নিজস্ব প্রতিবেদক দৈনিক তোকদার নিউজ.কম এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ,তথ্য,ছবি,আলোকচিত্র,রেখাচিত্র,ভিডিওচিত্র,অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।