রাজ্জাকুন্নাহার সুমী
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি,কিশোরগঞ্জ।
বইপ্রমী মানুষগুলো সবসময় কিছুটা কল্পনাপ্রবণ ও ব্যতিক্রমী হয়ে থাকে। তেমনি একজন ব্যতিক্রমী চিন্তার মানুষ রকিব হাসান। তার এই চিন্তা বাস্তবায়নে পাশে ছিলেন তার ভাই- বোনসহ পরিবারের সবাই।
কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার সরারচর ইউনিয়নের খালেকার ভান্ডা গ্রামে বাড়ির ‘আনন্দধারা’ নামক প্রধান গেইট বা ফটক নির্মাণ করে এক অভিনবত্বের প্রকাশ করেছেন রকিব হাসান। যদিও তিনি তার পেশাগত কাজের সুবাদে বাড়ির বাইরেই থাকেন বেশি। এ বিষয়ে তার সাথেকথা বলে জানা যায়, তিনি কোন একটি বইমেলায় এই আদলে একটি স্টল দেখেছিলেন। পরে তার মাথায় এ চিন্তা ঘুরতে থাকে পরে তিনিসহ তার ছয় ভাইবোন পরামর্শ করে এটি বাস্তবায়নে কাজ করেন।
বাড়ির প্রাচীরসহ ফটকের দৈর্ঘ্য ৯০ ফিট। তবে ফটকের দৈর্ঘ্য ২৬ ফিট। এটির নির্মাণ খরচ প্রায় ১০ লাখ। গত আঠারো মাস ধরে এটির কাজ চলছে, হয়তো আরো ২/৩ মাস সময় লাগতে পারে,এতে ব্যয়ভারও বাড়তে পারে। এই অভিনব চিন্তাটি তার হলেও খরচ বহনে ভাইবোন সকলেই সাহায্য করেছেন।
তবে নির্মাণ কাজ শেষ ননা হলেও এরই মাঝে সকলের নজর কেড়েছে এই ফটক। এছাড়া এটি রেললাইনের পাশে হওয়াতে ট্রেনের যাত্রীদেরও নজর কারে। যারা একবার এটি দেখেছে, মনের অজান্তেই যেন আরো একবার চোখ ফেরান তারা।
এই ব্যতিক্রমী ফটক সম্পর্কে সকলের কৌতুহল এবং ভালোলাগা- ভালোবাসা যেন দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।