1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হনুমান উদ্ধার অষ্টগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সভাপতি নজরুল-সম্পাদক আলী ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় বাবা নিহত, গ্রেপ্তার ২ হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের ভুয়া সনদে পদোন্নতির অভিযোগ সংবাদের শিরোনাম মিল থাকায় ১৩ পত্রিকার সম্পাদকদের নোটিশ বাজিতপুর বিএনপি’র উদ্যোগে ইসরাইল বাহিনীর বিমান হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল কিশোরগঞ্জে হিসাব সহকারী কম্পিউটার অপারেটরও ইউপি কর্মকর্তাদের নিয়ে গ্রাম আদালতের প্রশিক্ষণ আমি যদি পাখি হতাম প্রিটোনিয়া প্রকাশনার উদ্যোগে ‘রকের আড্ডা’র রজত জয়ন্তী পালন ময়মনসিংহে নিউজ ষ্টুডিও উদ্ভোধন করলেন জেলা প্রশাসক
শিরোনাম
চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হনুমান উদ্ধার অষ্টগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সভাপতি নজরুল-সম্পাদক আলী ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় বাবা নিহত, গ্রেপ্তার ২ হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের ভুয়া সনদে পদোন্নতির অভিযোগ সংবাদের শিরোনাম মিল থাকায় ১৩ পত্রিকার সম্পাদকদের নোটিশ বাজিতপুর বিএনপি’র উদ্যোগে ইসরাইল বাহিনীর বিমান হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল কিশোরগঞ্জে হিসাব সহকারী কম্পিউটার অপারেটরও ইউপি কর্মকর্তাদের নিয়ে গ্রাম আদালতের প্রশিক্ষণ আমি যদি পাখি হতাম প্রিটোনিয়া প্রকাশনার উদ্যোগে ‘রকের আড্ডা’র রজত জয়ন্তী পালন ময়মনসিংহে নিউজ ষ্টুডিও উদ্ভোধন করলেন জেলা প্রশাসক

কিশোরগঞ্জে পাগলা মসজিদের দানবাক্স, মিললো ২০ বস্তা টাকা

  • প্রকাশ কাল শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৯৭ বার পড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, কিশোরগঞ্জ:
পাগলা মসজিদে পাওয়া টাক গণনার কাজ চলছেম সজিদের নাম পাগলা মসজিদ। কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে
আটটি লোহার দানবাক্স আছে। তিনি মাস ছয় দিন পর শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এগুলো খোলা হয়েছে। এতে ২০ বস্তা টাকা
পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকা গণনা কাজে সিনিয়র সহকারী
কমিশনার অহনা জিন্নাত, শেখ জাবের আহমেদ, সুলতানা রাজিয়া,সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মো. মাহমুদুল হাসান,
রওশন কবীর, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের
সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও
এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। এর আগে ২০২২ সালের ১ অক্টোবর ৩ মাস ১ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন
রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে
জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান দানবাক্স খোলা
হয়েছে। দান দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড ২০টি বস্তায় টাকাগুলো আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সূত্রে জানা যায়, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন।
জানা যায়, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত
নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই পাগল সাধকের দেহাবসানের
পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।
কিন্তু ওই সাধকের দেহাবসানের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে এলাকা এমনকি দেশের দূর-দূরান্তের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন বয়সের হিন্দু-মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ মানত
নিয়ে আসেন এই মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি এমনকি বৈদেশিক
মুদ্রাও দান করেন। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ঢল
নামে। আগতদের মধ্যে মুসলিমদের অধিকাংশই জুমার নামাজ আদায় করেন মসজিদে। আর এ ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরেরও অধিক সময়ের
বলে জানা যায়। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠলেও বর্তমানে
মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গা রয়েছে। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য।
এরইমধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নামকরণ
করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST