স্টাফ রিপোর্টার ঃ মামলার বাদীকে না জানিয়ে বা পুলিশ কর্তৃক আসামী পক্ষের আনীত ফরমায়েশী স্বাক্ষীরা আদালতে স্বাক্ষী প্রদান না করায় বিচার বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। যা বাদীকে অধৈর্য ও সংশয় করে তুলছে। বাদী তার অবুঝ দুটি সন্তানকে নিয়ে বিচারের দ্বারে-দ্বারে ঘুরে আদালতের দরজায় ভিক্ষা প্রার্থনা করে যাচ্ছেন। এদিকে আদালত কর্তৃক দুটি বাচ্চার ভরণ-পোষণের ধার্যকৃত টাকার কিস্তিও দীর্ঘ সময় ধরে পরিশোধ না করায় বাচ্চাদের নিয়ে চরম বিপাকে অসহায় মা বিলকিছ আক্তার আঁখি। বাচ্চাদের লেখা-পড়ার খরচ চালাতে না পেরে ভীষণ হতাশা গ্রস্থের মধ্যে জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। অসহায়ত্বের চরমসীমায় অধিষ্ঠিত হয়ে দুর্দশাগস্থ জীবন যাপন করছেন বলে জানা যায়। এদিকে স্বামীর ভীবৎস নির্যাতনের চিহ্ন বহণ করে জীবন সংগ্রামে নিয়োজিত। বাদী বিলকিস আক্তার আঁখি সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী স্বামীর ভয়ে আতংকিত জীবন যাপন করে যাচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারকে। এদিকে ভরণ পোষণের ধার্যকৃত কিস্তি না দেওয়ায় প্রায় বছর ধরে ওয়ারেন্টের পরোয়ানা থানায় পড়ে আছে। পুলিশ তেমন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে জানান মামলার বাদী। তথ্য ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সদরের মহিনন্দ ইউনিয়নের গাংগাইল দিঘীরপাড় গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র আমিনুল ইসলাম মিলনের সাথে ২০০৭ সালে নিউটাউন সওদাগর বাড়ির মৃত মইদর আলীর কন্যা মোছাঃ বিলকিছ আক্তার আঁখির বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। বিবাহের পরে জানতে পারেন তার স্বামী একজন নেশাগ্রস্থ মাদক কারবারী। স্বামীকে এমন অন্ধকার জগত থেকে ফিরানোর চেষ্টা করার কারণে স্ত্রী আঁখিকে একাধিকবার শারীরিক নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। একাধিকবার দাম্পত্য কলহের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছলে ও স্ত্রী আঁখি বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে পুনরায় ঘর সংসার করতে থাকেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দানবীয় স্বামী মিলনের আঘাতে চরম নির্যাতিত হন স্ত্রী । পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আঁখিকে স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে স্ত্রী আঁখি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সদর মডেল থানায় একটি মামলা করলে মামলাটি দ্রুত এফ আই আর হয়। যার এফ আই আর নং-২৫/৫৭৯/১৯ মামলটি বর্তমানে নারী ও শিশু আদালত-১ এর ৩২৭/২০ রয়েছে। মামলাটিতে বাদীর আনীত স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য নেওয়া পুলিশ কর্তৃক বাদীর ফরমায়েশী স্বাক্ষীরা স্বাক্ষ্য না দেওয়ায় বিচার মারাত্মকভাবে বিলম্বিত হয়ে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানান। উল্লেখ্য, মিলনের নামে মাদক, চাঁদাবাজি, চুরি ও ডাকাতি মামলা রয়েছে। মিলন স্ত্রীর অনুমতি ব্যতিরেখে একাধিক বিবাহ করে অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্গণ করে চলেছে। বর্তমানে স্ত্রী আঁখি ভরণ পোষণের টাকা না পেয়ে কষ্টে জীবন যাপন করছেন। স্বামীর দেওয়া নির্যাতনের চিহ্ন শরীরে বয়ে আতংকিত জীবন যাপন করছেন বলে জানা যায়। তিনি সংশ্লিষ্ট আদালতের জোর দৃষ্টি কামনা করে মামলাটির সু-ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন অসহায় ও নির্যাতিত স্ত্রী বিলকিছ আক্তার আঁখি।