মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বদৌলতে প্রায় সবার হাতেই রয়েছে স্মার্ট ফোন । ক্লিক করলেই সারাবিশ্ব হাতের মুঠোয়। তবুও যারা নিরন্তর বসে বসে লিখে গেছেন কিংবা আদো লিখছেন কবিতা,গল্প উপন্যাস,প্রবন্ধ বা শিক্ষনীয় অন্যান্য রচনাবলী,তাদের সেসব লেখাগুলো অনলাইনে দুষ্প্রাপ্য ও বটে। তাছাড়া বইয়ের মলাটের সুগন্ধও পাওয়া সম্ভব নয়। মূলত সেলুনে আগত সেবাগ্রহীদের দীর্ঘ সিরিয়ালের ফাঁকে সময় কাটাতে আকর্ষণীয় বই বা শিক্ষনীয় গ্রন্থ নজরে পড়লে বই পড়ার ইচ্ছে জাগ্রত হবে পাঠকদের মাঝে।পরক্ষণে বই পড়ে জ্ঞানের পরিধি বাড়াবে সেবাগ্রহী।তারই ধারাবাহিকতায়
আজ বৃহস্পতিবার (১৭নভেম্বর) নোয়াখালী মাইজদীর রাজারামপুর পূর্বলক্ষী নারায়ণপুরে মিলার দোকান মোড়ে অমল শীলের সেলুনে বুক সেলফ বিতরণ করা হয়।
এ সময় ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র সৌজন্যে সেলুনের মালিকের হাতে বুক সেলফ হস্তান্তর কার্যক্রমে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবীন রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট সমাজসেবক সাইদুল হক সাইদু(সাদু মেম্বার)।
এসময় প্রধান অতিথি সাইদুল হক সাইদু বলেন “সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে” – সময়ের প্রয়োজনোপযোগী একটি কার্যক্রম। এমন উদ্যোগের ফলে বই পড়ায় পাঠক তৈরি হবে।যা আলোকিত মানুষ গড়ার নেপথ্যে কাজ করবে।
বুক সেলফ হস্তান্তর কার্যক্রমে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের নোয়াখালীর বিশেষ প্রতিনিধি সাহাদাত হোসেন বাবু। তিনিও সেলুন পাঠাগারের প্রশংসা করে বলেন, সেলুনে পাঠাগার স্থাপন একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। সকলের উচিত অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়ানো।এতে মানুষের মাঝে সুকুমার বৃত্তি বাড়বে।
সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র উদ্যোক্তা কবি গোলাম মাওলা জসিম জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কারণে নাটকীয়ভাবে তরুণ প্রজন্মের যোগাযোগের পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে। আর এর ফলে মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস কমে গেছে। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বইয়ের পাঠক।সেলুনে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ সেবাগ্রহীতাকে বেশিরভাগ সময় অপেক্ষা করতে হয়,কেউ হয়তো এ সময়ে পত্রিকা পড়তে ব্যস্ত, আবার কেউবা টেলিভিশন দেখেন,একটা সময় গ্রাহকের মধ্যে অলসতা ও অস্থিরতা কাজ করে।তাই সেবাগ্রহীতার সময়ের সঠিক ব্যবহারও পাঠবিমুখতা দূর করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে আমার এ উদ্যোগ।এক্ষেত্রে সেলুন অন্যতম একটি স্থান।
উল্লেখ্য, অবসরে বই পড়ুন’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ৩০ জুন গোলাম মাওলা জসিমের নিজ এলাকা নোয়াখালীতে রতনের সেলুনে বই ও আলমারি বিতরণের মাধ্যমে এ ব্যতিক্রমী কার্যক্রম শুরু হয়।যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সেলুনে স্থাপন করা হচ্ছে বুক সেলফ।