নিজস্ব প্রতিবেদক: যারা তাদের নেতার সাথে বেইমানি করে নাই , যারা জাতির জনকের অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন এবং জাতির জনকের রক্তের উপর পা দিয়ে যারা মসনদে যাবেনা , মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করবে না এবং মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও তারা আপোষ করে নাই তাদেরকে জেলখানার প্রকোষ্ঠে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে ৷ যদি আমরা পৃথিবীর ইতিহাস দেখি যেখানে বঙ্গবন্ধুর জীবনে চার হাজারেরও বেশি দিন জেলখানায় বন্দী ছিলেন তিনি এবং পাকিস্তানের প্রেতার তারা জেলখানা বন্দি করে রেখেছে কিন্তু তার পরও তারা বঙ্গবন্ধুকে জেলখানায় হত্যা করতে পারেনি ৷ যারা বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং মাত্র ৯ মাস যুদ্ধের বিনিময়ে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন তাদেরকে সেই বাঙালি জাতির হাতেই মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে ৷একমাত্র খুনি মোস্তাকের কারণে আর খুনি জিয়ার কারণে ৷ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তখন একটি দল একটি, একটি গুষ্টি যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল , যারা স্বাধীনতা কে বিশ্বাস করত না , যাদের স্বাধীনতার কোন আদর্শ ছিল না তারা বলতে শুরু করলো যে , তারা শুধুমাত্র একটি পরিবারকে হত্যা করেছে কিন্তু তারই ধারাবাহিকতায় যখন ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলখানায় এই জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হলো তখন আর বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে বাকি রইল না যে এ হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র একটি পরিবারকে বা একটি গুষ্টিকে নয় এই হত্যাকাণ্ড ছিল একটি আদর্শকে হত্যা করা ৷ যে আদর্শ বুকে নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল ৷ এই আদর্শকে বুকে নিয়ে সারাটি জীবন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সহযোদ্ধারা সংগ্রাম করেছিলেন, যে আদর্শকে বুকে নিয়ে বাংলাদেশের মতো একটি সুন্দর স্বাধীন স্বাধীন দেশের জন্ম , এই আদর্শকে টুটি চেপে হত্যা করার জন্য ১৯৭৫ সালে১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর এই নারকীয় কে হত্যা চালায় ৷
শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দুয়া ও আলোচনা সভায় কিশোরগঞ্জ ১ ( সদর -হোসেনপুর ) আসনের সংসদ সদস্য ডাক্তার সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এসব কথা বলেন ৷ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এর অধ্যক্ষ ডাক্তার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএমএস সভাপতি ডাক্তার মাহবুব ইকবাল, প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার আ . ন. ম. নওশাদ খান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডাক্তার হাবিবুর রহমান | এছাড়াও অনুষ্ঠানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন চিকিৎসক, শিক্ষার্থী , বিভিন্ন কর্মকর্তা – কর্মচারী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ৷