রংপুরের পীরগাছা সোনালী ব্যাংকে এক গ্রাহকের ৫০হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে এক প্রতারক।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্যাংকের ম্যানেজারের রুমে এ ঘটনা ঘটে।ওই গ্রাহক মুহাম্মদ আবুল হাশেম সিদ্দিকী পাওটানাহাট ফাজিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
এ ঘটনায় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত বলে দাবি করছেন প্রতারনার শিকার গ্রাহক মুহাম্মদ আবুল হাশেম সিদ্দিকী।তিনি এ বিষয়ে পীরগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।জানা গেছে,আবুল হাশেম সিদ্দিকীর টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুর ১২ঘটিকার সময় পীরগাছা সোনালী ব্যাংকে যান।এসময় চেক লিখতে গেলে ব্যাংকের ষ্টাফ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি যার আনুমানিক বয়স-৪৫বছর,সাদা হাফ শাট পরিহিত,মুখে মাস্ক পড়া অবস্থায় আমাকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে।সে কলম দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করেন এবং ব্যাংকের ক্যাশিয়ার ও অন্য কর্মকর্তাদের অনেকের সাথে নাম ধরে ডাক দেন।ওই ব্যক্তি ব্যাংকের ভিতরে আসা গ্রাহকদের কাগজ-কলম দিয়ে সহায়তা করতে থাকেন।এমতাবস্থায় ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা নাই।পরে আসতে বললে আবুল হাশেম সিদ্দিকী আবারো দুপুর একটার দিকে ব্যাংকে যান এবং সয়শ্লিষ্ট কাউন্টার থেকে ৫লাখ টাকার ১০টি ৫০০টাকার বান্ডিল উত্তোলন করেন।তখনও ওই অজ্ঞাত ব্যাক্তি ব্যাংকে ঘোরাঘুরি ও ষ্টাফদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছিল।পরে আবুল হাসেম সিদ্দিকী টাকার বান্ডিল নিয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের রুমে গুনতে থাকলে ওই ব্যাক্তি টাকা গুনতে সহায়তার কথা বলে একটি ৫০০টাকার বান্ডিল গুনতে থাকে। টাকা গুনতে থাকা ওই ব্যাক্তি জানান যে,এই বান্ডিলে দুটি অচল নোট রয়েছে,আমি বদলিয়ে নিয়ে আসি।এ কথা বলে তিনি ৫০০টাকার একটি বান্ডিল ৫০হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।পিছন ফিরে তাকে আর পাননি গ্রাহক আবুল হাসেম সিদ্দিকী।পরে ব্যাংকে এবং নিচে অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে না পেলে ব্যাংক ম্যানেজার ও ষ্টাফদের বিষয়টি জানালে ব্যাংক ম্যানেজার আসাদুজ্জামান প্রতারণার শিকার গ্রাহকের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং ওই ব্যক্তি ব্যাংকের কেউ নয় বলে জানায়।এসময় গ্রাহক ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা দেখতে চাইলে ব্যাংকে কোন সিসি ক্যামেরা নাই বলে জানান ম্যানেজার।দেশের একটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংক হওয়া সত্ত্বেও সেখানে সিসি ক্যামেরা না থাকায় এসময় উপস্থিত গ্রাহকরা বিষ্ময় প্রকার করেন।পরে ব্যাংকের নিচে মেসার্স মেঘলা ষ্টোরের থাকা সিসি ক্যামেরায় ওই অজ্ঞাত ব্যক্তিকে দ্রুত পালিয়ে যেতে দেখা যায়।কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই গ্রাহককে কোন সহযোগিতা না করে উল্টো তাড়িয়ে দেন।গ্রাহক আবুল হাসেম সিদ্দিকী বলেন,একটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংক সেখানে সিসি ক্যামেরা থাকবে না এটা মানা যায় না-ওই প্রতারক ব্যাংকের অনেকের নাম ধরে ডাকাডাকি করেছে সে তাদের পূর্বপরিচিত তাই আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি প্রতিকার চাই।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে পীরগাছা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান বলেন,ওই সময় আমি ছিলাম না।ব্যাংকে কোন সিসি ক্যামেরা নাই।ওই গ্রাহকের টাকা হারিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করছেন।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃমাসুমুর রহমান বলেন,অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যাংকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।সার্বিক বিষয় তদন্ত করে ম্যানেজারের সাথে কথা বলেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।