সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরায় অবস্থিত ট্যানারিগুলোতে আসতে শুরু করেছে হাজার হাজার কোরবানির পশুর চামড়া।গত বছর সারাদেশ থেকে কোরবানির পশুর চামড়া ট্যানারিতে আসলেও এবার সরকারি নির্দেশনার কারণে সারাদেশ থেকে কাঁচা চামড়া আসতে পারেনি।এ সব কারণেই এবার চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারিগুলোতে চামড়ার সরবরাহ কম হয়েছে বলে একাধিক ট্যানারি মালিক দাবি করেছেন।
প্রায় প্রতিটি ট্যানারিতে লবণবিহীন কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হচ্ছে।চামড়া সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন ট্যানারি শ্রমিকরা।বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো:সাখাওয়াত উল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন,ঈদুল আজহা ঘিরে প্রায় এক কোটি দশ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।গত বছর প্রায় ৯০লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছিল।এছাড়া চামড়া পাচার রোধে সরকার বর্ডার এলাকা সিল করে দেওয়া ও নানা ব্যবস্থা নিয়েছে।ট্যানারি মালিকরাও ন্যায্য মূল্য দিয়েই চামড়া কিনছেন।
চামড়া শিল্প নগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন,১৬২টি ট্যানারির মধ্যে ১৩৯টি ট্যানারিতে ঢাকার বাইরে থেকে ট্রাকে ট্রাকে চামড়া আসতে শুরু করেছে।এছাড়া চামড়া সংরক্ষণে সেখানে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহসহ সব ধরনের সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি ড্রেন সংস্কার আর ট্রাকের বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবার নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ।বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সরেজমিনে তা পরিদর্শন করছেন,যাতে কাঁচা চামড়া নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।লবন দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ট্যানারি মালিকদের পাশাপাশি কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও ঈদের দিন থেকেই কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে বিভিন্ন শেডে মজুদ করে রাখছে।তারা গরুর চামড়া ৭০০ থেকে ৮০০টাকা দরে কিনছেন ও ছাগলের চামড়া ১০টাকা থেকে ২০টাকা দরে কিনছেন।চামড়ার দাম বেশি হলে তারা এগুলো ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করবেন।