লালমনিরহাটের সদর উপজেলায়“স্বাধীন নেটওয়ার্ক”এরপরিচালক ও শাখা ব্যবস্থাপক আহসান হাবিব পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে অংশীদারিত্ব নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে গোলাম রব্বানী আহসান হাবিব পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহসান হাবিব পাটোয়ারী খেদাবাগ এলাকার জিয়াউল হকের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,আহসান হাবিব পাটোয়ারী বড়বাড়ী বাজারে গত বছরে ১৩ অক্টোবর গোলাম রব্বানীসহ আরো দুই জনকে সাথে নিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে ৪ জন মিলে ১০ লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে দীপ্ত অপরাজেয় আই.এস.পি(স্বাধীন নেটওয়ার্ক)এর ব্যবসা শুরু করে।সেই সময়ে গোলাম রব্বানী শেয়ারে ব্যবসা করার জন্য আহসান হাবিবকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেন।
শুরুটা ভাল হলেও একই বছরের ৪ মার্চ স্বাধীন নেটওয়ার্কের পরিচালক আহসান হাবিব পাটোয়ারী সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুকে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করান।
এতেই বাধে বিপত্তি কারন গোলাম রব্বানী আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী।
সেই থেকে আহসান হাবিব পাটোয়ারীর সাথে মনমালিন্য চলে আসছে।
সেই সুযোগে চতুর আহসান হাবিব পাটোয়ারী গোলাম রব্বানীকে উক্ত ব্যবসার কোন হিসাব না দিয়ে বিভিন্ন যায়গায় বলে বেড়াচ্ছে গোলাম রব্বানীকে সমস্ত টাকা পয়সা দিয়ে দিয়েছি।
তার আর কোন পাওনা নেই।তাই বাধ্য হয়েই গোলাম রব্বানী আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন তদন্তে বড়বাড়ী স্বাধীন নেটওয়ার্কের অফিসে গেলে দেখা মেলে পরিচালক আহসান হাবিব পাটোয়ারীর।
অভিযোগ গোপন রেখে সাংবাদিকরা তার ব্যবসার খবর জানতে চাইলে তিনি বলেন,স্বাধীন নেটওয়ার্ক আর ছোট নেই।৪ জন মিলে ১০ লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম।
কে কত টাকা দিয়ে পার্টনার হয়ে ছিলেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,সবাই সমান ২ লক্ষ ৫০ হাজার করে।তিনি আরো বলেন,গত মাসে ১৩ হাজার গ্রাহকের ৯৯ টাকা প্যাকেজেই লাভ হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা।
পরে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান এবং বলেন,আপনারা ৩ জনের কথা লিখবেন।বাকী একজন গোলাম রব্বানীর কথা বলার দরকার নাই।
তাকে আমরা বাদ দিয়েছি।কেন বাদ দিলেন? তার কোন সঠিক উত্তর তিনি দিতে পারেননি আহসান হাবিব পাটোয়ারী।
এ বিষয়ে গোলাম রব্বানী বলেন,আমি আহসান হাবিব পাটোয়ারীকে ভালো মানুষ মনে করে খুব কষ্টে টাকা গুলো দিয়েছিলাম।
কিন্তু আমার সাথে সে প্রতারণা করল।আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।আপনাদের সহযোগীতা চাই।যাতে সে আমার টাকা গুলো মেরে না দিতে পারে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।