ওয়াসিম কামাল
লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘হামলার চেষ্টা’য় এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ করে। লিবিয়ার সরকার শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ত্রিপোলি থেকে এ খবর জানায়।
লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানো হয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘অজ্ঞাত হামলাকারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং তিনি আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তিনি মারা যান।
সরকার জানিয়েছে, ‘বিক্ষোভকারীদের সাথে মিশ্রিত একটি দল কর্তৃক ভবনে মোলোটভ ককটেল দিয়ে ভবনে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে সরকার বিক্ষোভকারীদের হামলা চালানোর চেষ্টা ব্যর্থ করেছে।
এএফপি কর্তৃক যাচাই করা হয়নি এমন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ‘স্বয়ংক্রিয় গুলির শব্দে সরকারি সদর দপ্তরের কাছে একটি নিচু দেয়ালের আড়ালে তরুণরা দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে এবং নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে।’
গত শুক্রবারের সকালে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ আল দ্বিবাইবের পদত্যাগের দাবিতে ত্রিপোলিতে একত্রিত হয়েছিল।
সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কয়েকদিনের মারাত্মক লড়াইয়ের পর শুক্রবার সকালে ত্রিপোলিতে আপেক্ষিক শান্তি ফিরে এসেছিল। তবে পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্থিতিশীল রয়ে গেছে।
বিক্ষোভের পর, স্থানীয় গণমাধ্যম সরকার থেকে ছয়জন মন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীর পদত্যাগের খবর প্রকাশ করেছে।
যাদের মধ্যে দুজন একটি ভিডিওতে তাদের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লিবিয়া দ্বিবাইবের নেতৃত্বে ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ-স্বীকৃত সরকার এবং সামরিক শক্তিধর খলিফা হাফতারের পরিবার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত পূর্বের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসনের মধ্যে বিভক্ত।
২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর থেকে দেশটি গভীরভাবে বিভক্ত রয়েছে। এই বিদ্রোহে দেশটির দীর্ঘদিনের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত এবং হত্যা করা হয়েছিল।