ওয়াসিম উদ্দিন সোহাগ (স্টাফ রিপোর্টার)
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের সম্মানার্থে রাস্ট্রীয়ভাবে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উক্ত স্নরণসভায় সভাপতিত্ব করেন তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকী। তিনি একাধারে সঞ্চালনার দায়িত্বও পালন করেন। অনুষ্ঠানেের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করেন উপজেলা মসজিদের খতিব ও ইমাম হাফেজ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন। পাশাপাশি গীতাপাঠ করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিকাশ রায়।
স্মরণ সভা অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন- ২৪ এর গনঅভ্যুত্থান তখনি স্বার্থকতা হবে যখন ছাত্ররা লেখাপড়া করে মানুষ হয়ে দেশ মানবতার কল্যাণে ভালো কিছু করতে পারবে। শুধু ২৪ নয় এদেশের ৫২,৭১ সহ সকল আন্দোলনেই ছাত্রজনতার ভূমিকা ছিল।
উপজেলা কমিশনার (ভূমি) তৌফিকুর রহমান বলেন, বৈষম্য শব্দটি সভ্যতার শুরুর দিক থেকেই ছিল। এটি সভ্যতার প্রচলিত অংশ। অন্ন বস্ত্র বাসস্থান তথা মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রাপ্তির বিঘ্নই বৈষম্য বিপ্লবের সৃষ্টি হয়। যুগে যুগে মানুষ বৈষম্যর পরিবর্তন করার জন্য বিপ্লব করেছে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বৈষম্য বিপ্লব তেমনি একটি বিপ্লব। ছাত্রজনতার বিপ্লবে পুলিশের ভূমিকার বিষয়ে তাড়াইল থানা (ভারপ্রাপ্ত) ইনচার্জ লুৎফর রহমান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্য বলেন- আপনারা মানুষ, পুলিশও মানুষ। তাহলে পুলিশ কেন একটি পক্ষের মানুষ হয়ে যায়? আপনারা জেনে থাকবেন আমাদের চেইন অব কমান্ডের মাধ্যমে ফ্রন্ট লাইনে কাজ করতে হয়। দুই তিনজন খারাপ পুলিশের কারণে সকল পুলিশের বদনাম হয়। যে পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করে তারাও কোন না কোন পরিবারের সন্তান। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তা জাহিদুল হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিকাশ রায়, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল আমিন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের প্রতিনিধি ডাঃ সারোয়ার হোসেন রনি।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম গোলাম কিবরিয়া। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা
বক্তারা জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে বলেন, গণঅভ্যুত্থানে তাড়াইল উপজেলায় মোট ১ জন শহীদ ও গুলিবিদ্ধ সহ ৯ জন আহত হয়েছেন। বক্তব্য শেষে শহীদদের রুহের মাফফেরাত ও আহতদের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। গণঅভ্যুত্থানে শহীদ তরিকুল ইসলাম রুবেলের ভাই ইফতেখারুল ইসলাম জুয়েল কান্নাজড়িত কন্ঠে শহীদ রুবেলের শহীদ হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন। ও তার ভাইয়ের নামে একটি চত্বর করার জন্য মৌখিক আবেদন করেন। পরে তার হাতে একটি অনুদানের চেক তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকী। এসময় উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা,আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সাংবাদিক সুধী সমাজ উপস্থিত ছিলেন।