নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ৪৬ নং সুতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রবিউল আউয়ালের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সুতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পূর্ব পাশে শতাধিক বিক্ষুব্ধ লোকজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করে মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বদলি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সেনাক্যাম্প ও শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ করে ব্যর্থ হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মো. জাহেদ আলীকে হুমকি দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. ইয়াছিন তার বিরুদ্ধে পাঠদানে অনিহা, সময় মতো স্কুলে উপস্থিত না হওয়া, আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন। সাবেক সহ সভাপতি মো. ফুরকান বলেন, বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষিকার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক জানাজানি হলে সাবেক সভাপতির মধ্যস্থতায় বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েন। শ্বশুর বাড়ির প্রভাব কাটিয়ে দিন দিন তার অনিয়মের মাত্রা বাড়তে থাকে। অভিভাবক মো. মঞ্জিল মিয়া তার মেয়ে ছোঁয়ামনির তিন বছরের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। স্থানীয় যুবক মোস্তাক হাসান ইমন বলেন, বেশ কয়েকবার নানা অভিযোগে তাকে নিয়ে দরবার শালিস হয়েছে কিন্তু তিনি নিজেকে শোধরাবার চেষ্টা করেননি। কিছু দিন আগে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দপ্তরেও এনিয়ে দেন-দরবার হয়েছে। বারবার তার বিষয় নিয়ে কথা বলতে বিব্রতবোধ করছি। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবুল বাশার মৃধা জানান, শিক্ষক স্বল্পতা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বিকল্প কাউকে না পাওয়ায় বদলির জন্য জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সে পর্যন্ত উভয় পক্ষকে ধৈর্য্য ধারণ করার পরামর্শ দেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউল আউয়াল বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. ইয়াছিন, সহ-সভাপতি মো. ফুরকান ও দাতা সদস্য মো. জাহেদ আলীর নানা কাজে অসহযোগিতা করে বিড়ম্বনা সৃষ্টির কথা উল্লেখ করেন। অনিয়ম বা দুর্নীতির বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি জানান, বিধি বহির্ভূত বা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া কোন কাজ করা হয়নি।