সাব্বির আহমেদ মানিক, বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদ দাতা, কিশোরগঞ্জ বাজিতপুর, পিরিজপুর ইউনিয়ন নিলখী ক্বাছেমুল দাখিল মাদাসা অনিয়ম আর দুর্নীতির সুপার মোঃ গোলাম মস্তুফার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। তার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও, সরকারি অর্থ লুপাট, প্রতিবন্ধীদের জন্য ক্রয়কৃত মালামাল না দেয়া, ম্যানেজিং কমিটি গঠনে স্বেচ্ছাচারিতা ও বিতর্কিত নানা সিদ্ধান্তের কারনে মাদ্রাসাটি এখন অনিয়ম আর দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য। মাদ্রাসার সাবেক অভিভাবক সংবাদ দাতাকে জানান, মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া ও স্থানীয় দোকানদার সুপার মোঃ গোলাম মোস্তুফার নিয়োগ প্রক্রিয়াটি ছিলো অস্বচ্ছ এবং রহস্যময়। সাবেক এমপি আফজাল হোসেন, কথিত ম্যানেজিং কমিটির কিছু অসাধু ব্যাক্তি, সুপারের প্রধান সহযোগীও দুর্নীতির গডফাদার সহ শিক্ষক মো. জিল্লুর রহমানসহ নিয়োগের দিন সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত মাদ্রাসার ভেতর রুদ্ধদ্বার বৈঠকের মাধ্যমে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এ অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক জানান, এ সব কিছুর নাটেরগুরু হলেন সহকারী শিক্ষক মো জিল্লুর রহমান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদ্রাসাটির প্রধান মোঃ গোলাম মোস্তুফা এবং তার অপরাপর অনুগত শিক্ষক জিল্লুর রহমানসহ ম্যানেজিং কমিটির কিছু অসাধু ব্যাক্তির সহযোগিতায় প্রভাব খাটিয়ে নানা অজুহাতে বছরের পর বছর মাদ্রাসাটির বিপুল অর্থ হাতিয়েছেন। বিগত সময়ে শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের দেওয়া ৫ লক্ষ টাকা গিলে খেয়েছেন বলে এবং ভূয়া বিল ভাউচার তৈরী করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ৬/১০/২৪ ইং তারিখে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তুফা ফোন দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সহ সুপার মো আতাউর রহমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান যে, সুপার মো গোলাম মোস্তুফা সাহেবের (সম্ভব্য তারিখ ৬/১০/২৪) তারিখে আদালতে চেক জালিয়াতির একটি মামলায় ১ বছরের জেল ও ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারাশিদ বিন এনাম – এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এসব বিষয়ে কিছুই অবগত নন এবং কেউ তাঁকে জানাননি বলে জানান এবং বিস্তারিত জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন। এদিকে বাজিতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরকে প্রধান শিক্ষক সুপারের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি শুনেছি তার নিয়োগ প্রকৃয়া ছিলো ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে। আমার কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ এলে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। আর তাঁর জেল জরিমানা হয়েছে তা শুনেছি কিন্তু অফিসিয়াল ভাবে আমাকে এখনো জানানো হয়নি।