মকবুল হোসেন ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।
ময়মনসিংহ মহানগরীতে কম হলেও গ্রামাঞ্চলের তীব্রমাত্রায় লোডশেডি হচ্ছে। এতে তীব্র গরমে জনজীবন অতীব কষ্টে অতিবাহিত করছে। গ্রামাঞ্চলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ লোডশেডি এর কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দিনের বেলায় তো এই ভোগান্তি আছে রাতেও এর পরিত্রাণ নেই। পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার তারাবির নামাজ এবং সেহেরী কালেও লোডশেডিং এর দুর্বিসহ কষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তীব্র গরমে সারাদিন লোডশেডিং এর কারণে রোজা রাখার পর অসহনীয় তীব্র গরমের জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী, শিশু ও বৃদ্ধ গণ অনেকে এতো সুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেজ কার্যক্রম ও লোডশেডিং এর কারণে ব্যাহত হচ্ছে।
চাহিদার তুলনায় প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মেগা ওয়ার্ড বিদ্যুৎ সরবারহ ঘাটতি থাকায় দিতে হচ্ছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এ তথ্য দেন। গরমের সঙ্গে পবিত্র রমজান মাস ও ঈদের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। লোডশেডিং এর কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। গরম মৌসুমীর শুরুতে যদি এরকম লোডশেডিং হয় তবে পরবর্তীতে কি অবস্থা হবে তা নিয়ে জনমনে ও অস্বস্তি বিরাজ করছে।
এ জেলা শিল্পাঞ্চলে ও ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। এ কারণে ভালুকার শিল্পাঞ্চলে দুদিন আগে স্থানীয় পিডিবি অফিস ঘেরাও করেছে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা। সহনীয় পর্যায়ে লোডশেডিং নিয়ে আসার আশ্বাস দেওয়ার প্রেক্ষিতে ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এখনো পুর্বের ন্যায় ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।
ভালুকার পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী জানান এই এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছে না ফলে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং অব্যাহত রয়েছে ।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে জানা যায় জেলায় ১৪০০মেগা ওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ করতে হচ্ছে এ প্রায় ১ হাজার মেগাওয়াট।লোডশেডিং দিতে হচ্ছে প্রায় ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকার কারণে।