মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) উদ্যোগে চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহাসিক গৌরবময় স্থান ২নং গেইট বিপ্লব উদ্যানের অতীতের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট,সবুজায়ন ধ্বংসের প্রতিবাদে মানববন্ধন। যা কিনা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের স্মরণে নির্মিত যা ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ বিপ্লব উদ্যান।
আজ ২৫নভেম্বর,সকাল ১১টায় ২০২৩ ইং নগরীর ঐতিহাসিক ২নাম্বার গেইট বিপ্লব উদ্যানের সামনে (বেলা)’র উদ্যোগে ও পরিবেশ সুরক্ষা সংগঠন সমূহের অংশগ্রহনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন,বিপ্লব উদ্যান রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।২নাম্বার গেইট বিপ্লব উদ্যান আমাদের শহরের প্রাণ কেন্দ্রের উন্মুক্ত ময়দান অক্সিজেনের একটি মুক্ত ভান্ডার। নানাভাবে দূষিত শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এটি ছিল ঘন সবুজে শ্যামল ছায়ায় অক্সিজেনের একটি উৎস।
অতীতে যা ছিল ঘন সবুজ গাছগাছালি গাছের ছায়ায় রকমানি বাহারি গাছের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। ছিল নানা রকমের ফুলের ও গাছের রকমারি সমাহার। বাণিজ্যিকায়ন বিহীন নগরবাসীর উন্মুক্ত খোলা ময়দান। কৃত্রিমভাবে তিলে তিলে গড়ে ঘরে ওঠা সৃষ্টি প্রাকৃতিক সাজে মনোরঞ্জনে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে। ছিল গোলাপ,শাপলা,পদ্মা ফুলের প্রাকৃতিক পরিবেশের মুক্ত মাটির ও মাঠের ঘ্রাণ। মনোরম পরিবেশে আকর্ষণীয় রুপে শহরের প্রাণকেন্দ্রে একগুচ্ছ সবুজের সমাহার।
মানববন্ধনে সবুজায়ন রক্ষার্থে প্রতিবাদে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও উপস্থিত সদস্যদের অংশগ্রহণে সবুজায়ন ধ্বংসের প্রতিবাদে ও সুরক্ষায় বক্তব্য দেন।
সময় বক্তারা বলেন, উন্নয়ন নামে রাজস্ব আয় ইনকামের উৎস ব্যবসা-বাণিজ্যিকায়নের নামে সবুুজায়ন ধ্বংসের হাত থেকে নগরের পরিবেশ রক্ষা,সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে।
দ্বিতীয় দফায় সৌন্দর্য বর্ধনের নামে সুপরিকল্পিত কৌশলে সবুজায়ন ধ্বংস করা হচ্ছে। যেখানে বর্তমানে ১২% বাণিজ্যিকায়ন আছে সেখানে ৫৫% বাণিজ্যকায়ন গড়ে উঠবে। এতে সবুজ উদ্যান ও সবুজায়ন সংকুচিত হয়ে পড়বে।যা পরিকল্পিতভাবে মারাত্মকভাবে ধ্বংস হবে। সময়ের ব্যবধানে উদ্যানের পুরো সবুজটাই নষ্ট হয়ে যাবে। পার্কের সৌন্দর্য্য পরিবেশ সব নষ্ট হয়ে যাবে।
মানববন্ধন প্রতিবাদে অংশ নেয় চট্টগ্রাম ইতিহাস সাংস্কৃতিক গবেষণা কেন্দ্র,দোকান মালিক সমিতি, নাসিরাবাদ হাউসিং,পরিবেশ সংরক্ষণ সংগঠন সমূহ।সচেতন জনসাধারণ। এতে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও নদীর গবেষক অলিউর রহমান,দোকান মালিক কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির মিতু,সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ও কোষাধক্ষ্য নিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।