1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন

বাজিতপুরে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ৪, শতাধিক দোকান ভাংচুর

  • প্রকাশ কাল রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২২৩ বার পড়েছে


সাব্বির আহমেদ মানিক
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বিকাশে লেনদেনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ৪ জন আহত হয়েছে, এই সময় শতাধিক দোকান ভাংচুর করেছে উভয়পক্ষ ।
এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে সাধারণ দোকানীরা। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আতংকে সকাল থেকে দোকানপাট বন্ধ করে রেখেছে অন্যান্য দোকানীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজারে ৩০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান বাজিতপুরে থানা পুলিশ ।
উপজেলার সরারচর বাজারে গত ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৫ দিকে সিএমবি রোডের জাহিদের বিকাশের দোকানে অপরিচিত তিনজন লোক লোক এসে বিকাশের মাধ্যমে ২৮ হাজার পাঁচ’শ টাকা জরুরি ভিত্তিতে পাঠানোর তাগিদ দিলে দোকানী তার (01734284870) নাম্বার থেকে টাকা পাঠান। তখন একজন লোক টাকা নিয়ে আসতেছে বলে বাহিরে অপেক্ষা করেন। টাকা পাঠানোর কয়েক মিনিট পরে একটি অটোরিকশা ও চালককে জিম্মায় রেখে বাকী দু’জনই দোকান থেকে চলে গেলে আনুমানিক ৩০ মিনিট

পরে পাশ্ববর্তী দোকানের মোটর বাইক মিস্ত্রী মামুনের মাধ্যমে মুঠোফোনে দক্ষিণ সরারচর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুজন মিয়া জাহিদকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে বলেন। মানুন তাকে বাজারের ছাগল মহলের সুজন মেম্বারের কাছে নিয়ে গেলে জিম্মায় রাখা অটোরিকশাটি নিয়ে আসতে চাপ প্রয়োগ করলে।
ই বিষয়ে বিকাশের দোকানি জাহিদুল ইসলাম মিঠু গাড়ি ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে সুজন মেম্বার তাকে মারধর করেধ বলে জাহিদ অভিযোগ করেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে দুই পক্ষের লোকজনই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি দোকান পাট ভাংচুর করে রাত প্রায় ১১ টা পর্যন্ত ।
দক্ষিণ সরারচরের সুজন মেম্বারের লোকজন খালেকের ভান্ডার জাহিদের এলাকার লোকজনের দোকানপাট ভাংচুর করে আর জাহিদের গ্রামবাসীরা দক্ষিণ সরারচরের লোকজনের দোকানপাট ভাংচুর করে। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়ে সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে বাজারের দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে ।
সবজি ব্যসায়ী মোঃ আসলাম উদ্দিন বলেন, সবজি বিক্রি করে কোন রকমে কষ্টে আমার সংসার চলে। আমি কি দোষ করেছি, এখন আমার ক্ষতিপূরণ কে দিবে?
সরারচর ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার সুজন মিয়া তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
জাহিদুর রহমান মিঠু জানান, আমি গতকাল বিকালে বিকাশে টাকা পাঠিয়েছিলাম। টাকা না দেয়ায় জন্য আমার সাথে প্রতারণা করে একটি চক্র। এই চক্রের অন্যতম সুজন মেম্বার আমাকে লোক মারফতে ডেকে নিয়ে টাকা না দিয়ে উল্টো আমাকে মারধর করে। আমার গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ জানালে তাদের দোকানপাট ভাংচুর করে।

সরারচর বাজার শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি হাজী সাইদুর রহমান জানান, আল্লাহর অশেষ রহমতে বড় ক্ষতি থেকে সরারচর বাজারের ব্যবসায়ীরা বেঁচে গিয়েছে । আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে । আজ সকালে বাজিতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সরারচর বাজার শিল্প ও বণিক সমিতির সদস্যরা বসে ছিলাম । সে খানে সিদ্ধান্ত হয়েছে দুই পক্ষের ৫ জন ৫ জন ১০ জন বাজার শিল্প ও বণিক সমিতির সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আগামী কাল ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১২ টার দিকে ইউএনও অফিসে বসবো । সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে । বন্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে বলা হয়েছে ।
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ’’বিকাশে লেনদেনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ পাঠায় । পরে আমি নিজে আরো পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় । বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেন । এই ঘটনার এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।’’

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST