সোহেল রানা রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
রাজশাহীতে আগস্ট মাসে ১৯ নারী ও শিশু নির্যাতিতের ঘটনা ঘটেছে। উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) অত্র জেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ নারী ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে।
লফসের তথ্য অনুযায়ী আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনারচিত্র :
নগরীতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্র কে বলাৎকারের অভিযোগ, পুঠিয়ায় পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ধর্ষণের অভিযোগ উঠছে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে, বাঘা উপজেলার দক্ষিণ মিল্লিকা গ্রামে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী (১৪) কে অপহরণের অভিযোগ, পুঠিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকৃত (১৪) বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করে বাগমারা থানায় অভিযোগ করে।
এদিকে, মোহনপুরে হাড়িফলা গ্রামের এক নারী (৪১) কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, পুঠিয়া উপজেলায় জাহানারা বেওয়া (৭০) সহ তার প্রতিবন্ধী দুই মেয়েকে নির্যাতন, মোহনপুর উপজেলার রায়ঘাটি ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় তাসকিয়া ও মাজেদা নামে দুই নারী আহত, বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বাজারের মেয়ে ঋতু কর্মকার নিপা (২৩) এর আত্মহত্যা করে।
অপরদিকে, তানোরে সুন্নতে খাতনার কথা না বলায় স্ত্রী নিপা খাতুন (২৬) ও তার পুত্র নূর মোহাম্মদ (৭) কে ছুরি দিয়ে জবাই করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, বাঘা উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত সংঘর্ষে আফরোজা বেগম (৬০), ফাতেমা বেগম, পারুল বেগম (৩০), আঁখি খাতুন (২৫) নামে ৪ নারী আহত, বাঘা উপজেলার পলাশী ফতেপুর গ্রামে শ^শুর বাড়ির লোক দ্বারা নির্যাতনের শিকার এক গৃহবধূ।
লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, সংবাদ পত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়। রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক। রাজশাহী অঞ্চলে নারী-শিশু নির্যাতন সহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। লফস সকল নারী-শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবী জানান